Logo
×

Follow Us

ধর্ম

সেহেরি-ইফতারও হোক স্বাস্থ্যসম্মত

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৪১

সেহেরি-ইফতারও হোক স্বাস্থ্যসম্মত

রমজানে রোজার মাধ্যমে আমাদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই মুখ্য উদ্দেশ্য। তাই শরীর সুস্থ রাখাটাই হলো মূল। তার উপর এবারো গরমে শুরু হয়েছে রোজা। তাই সংযমের মাসে সেহেরি ও ইফতারিটা অবশ্যই হতে হবে পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত।

রোজায় দেখা গেছে ছোট-বড় সবাই ভাজাপোড়া খাবারের আসক্ত হয়ে থাকে, অবশ্য সেসব খাবার রোজাদারের জন্য খুবই মুখোরোচক বটে, স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এজন্য রমজান মাসে সেহেরি ও ইফতারে সুষম পুষ্টির সাথে শরীরিক সুস্থ্যতার কথা মাথায় রেখে ফুড প্ল্যানিং করাটা খুবই জরুরি। 

সেহেরিতে যা খাবেন

সারাদিন কিছু খাওয়া হবে না ভেবে অনেকেই সেহেরিতে বেশি করে খেয়ে থাকেন। তবে এটা করা মোটেও ঠিক না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খাবার খেতে হবে পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত। আর সাথে পান করতে হবে বিশুদ্ধ পানি।

সেহরিতে ভাতের সাথে মিশ্র সবজি, মাছ, মাংস দুধ ও ডিম খেতে পারেন। রাখতে পারেন দইও। অনেকে ভাত খাওয়ার পর হালকা চিড়ার সাথে দই খান, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এতে পানির তৃষ্ণাও মেটে।

সুস্থ থাকতে সেহেরিতে বেশি করে শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। এতে শরীর সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকবে। যাদের শাক হজমে সমস্যা হয় তাদের শাকের পরিবর্তে বেশি করে সবজি ও ফল খাওয়া উচিত।

যেহেতু এখন ভীষণ গরম তাই যতটা সম্ভব ‘রেড মিট’ অর্থাৎ গরু, মহিষ, খাসি ইত্যাদির মাংস এড়িয়ে চলা উচিত। 

ইফতারে যা খাবেন

সারাদিন রোজা থাকায় আমাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়, তাই ইফতারিতে প্রচুর পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পানির চাহিদা পূরণ করতে যেকোনো রসাল খাবার যেমন- ফলের রস, শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে। তবে কোনোভাবেই কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া যাবে না। 

একবারে বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সহজে হজম হয় এমন নরম খাবার গ্রহণ ইফতারির জন্য উপকারী। চিড়া ভিজিয়ে কলা ও অল্প মিষ্টি দিয়ে খেতে পারেন। সাথে দই খেতে পারলে পেট ঠান্ডা থাকবে। 

খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। ইফতারে খেজুর একটি আদর্শ খাবার। মিষ্টি ফল হওয়ায় দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ফলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়াও এ ফল ডাইজেস্টিভ এনজাইম বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে যা হজমে সাহায্য করে। 

তবে শুধু খেজুর নয়, অন্য যেকোনো ধরনের ফল ইফতারে রাখা উচিত। যেনো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয়।

একটানা একমাস রমজান বিধায় মাঝে মাঝে ইফতারিতে বৈচিত্র্য আনতে পারেন। সপ্তাহে ১/২ দিন নরম করে খিচুড়ি খেতে পারেন।

কাঁচা ছোলা খাওয়া হজমের জন্য বা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সারাদিনের ভেজানো ছোলা খোসা ছাড়িয়ে বাটিতে অল্প পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ আর লেবু মিশিয়ে খেলে ইফতারিতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

অনেকে ইফতারে তেহারি, বিরিয়ানি ধরনের খাবার খান। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোনোভাবেই এই ধরনের খাবার ইফতারিতে খাওয়া উচিত না। কারণ এইগুলো পেট গরম করে, ফলে নানা রকমের পেটের অসুখ দেখা যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫