
ফাইল ছবি
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার বা জুমার দিন। জুমার নামাজ দুই রাকাত। মুসলমানরা মসজিদে সমবেত হয়ে খুতবা শোনে। এরপর দুই রাকাত জুমার ফরজ আদায় করেন।
জুমার দিনের গুরুত্ব শরিয়তে অনেক বেশি। এই দিন ইতিহাসে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্ম হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে সপ্তাহের এই দিন ছুটি থাকে। কোরআন-হাদিসে জুমার দিনের আমল সম্পর্কে নানা বর্ণনা রয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে এই দিন যা কিছু ঘটেছিল ও ঘটবে তার অনেক বর্ণনা রয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে এখানে অল্প পরিসরে তিনটি উল্লেখ করা হলো-
এক. আদিপিতা হজরত আদম (আ.)-কে এই দিনে সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাকে এই দিনে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং একই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)
দুই. এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এই দিনেই তার তওবা কবুল করা হয়। আবার এই দিনেই তার রূহ কবজ করা হয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৬)
তিন. হজরত ইসরাফির (আ.) এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেবেন। এই দিনে কিয়ামত হবে, আর এই দিনেই সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)
জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস
এক হাদিসে আছে, ‘প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এই দিনটিকে ভয় করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)
অন্য হাদিসে আছে, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেয়া হয়। আর এ সময়টি হলো- জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৩৫)
আরেক হাদিসে আছে, ‘জুমার রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা যায়, আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৭৮)
আরেকটি চমৎকার হাদিসে আছে, ‘জান্নাতে প্রতি জুমার দিনে জান্নাতবাসীরা একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনোমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতিদের সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে যাবে ও তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদেরও হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৮৩৩, ৭১/৭৫৩)