ছবি: সংগৃহীত
নকল করা, জালিয়াতি করা নাজায়েজ ও হারাম। অন্য কারো থেকে দেখে লেখা হোক বা কারো কাছে শুনে লেখা হোক বা গোপনে দেখে দেখে লেখা হোক অথবা এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো অসদুপায়ে করা হোক না কেন, এটা প্রতারণা। আর ইসলামে প্রতারণা করা হারাম ও কবিরা গুনাহ।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি আমাদের সাথে প্রতারণা করে, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০১/১৮৯)
হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, যেকোনো কাজে-কর্মে প্রতারণা করা— এই হাদিসের আওতাভুক্ত। ফলে পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টিও সেগুলোর মধ্যে একটি।
নকল করা সম্পর্কে শায়খ বিন বাজ
পরীক্ষায় নকলের বিষয়ে শাইখ বিন বাজ (রহ.) বলেন, ‘পরীক্ষায় নকল করা মানুষের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারণার মতোই হারাম ও ন্যাক্কারজনক। বরং সাধারণ লেনদেনের চেয়ে পরীক্ষায় নকল করা- বেশি ভয়ানক হতে পারে। কারণ, নকলের মাধ্যমে সে হয়ত বড় বড় চাকুরি লাভ করবে। সুতরাং পড়াশোনার ক্ষেত্রে নকলের আশ্রয় নেওয়া হারাম। কেননা, সহিহ হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের সাথে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’
তাছাড়া এটি একটি খেয়াতন বা বিশ্বাসঘাতকতা। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা জেনে-শুনে খেয়ানত করো না আল্লাহ ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতের ক্ষেত্রে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৭)
সুতরাং শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যক হলো- তারা যেন কোনো পাঠ্য বিষয়েই নকলের আশ্রয় না নেয়। বরং তারা যেন প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অধ্যবসা ও পরিশ্রম করে যেন তারা বৈধভাবে উত্তীর্ণ হয়।’