
ছবি: সংগৃহীত
কবর জিয়ারাত ইবাদত। পরকালের কথা স্মরণ রাখতেও কবর জিয়ারত করা জরুরি। আবার গোনাহমুক্ত জীবন গড়তেও কবর জিয়ারত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত ও কাজ। জিয়ারতকারীকেও ক্ষমা করা হবে মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবী।
উল্লিখিত উদ্দেশ্যেই কেবল কবর জিয়ারতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, নতুবা ইসলামের সূচনালগ্নে কবর জিয়ারত নিষিদ্ধ ছিল। বুরাইদা আসলামি (রা.) মহানবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, , আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আমাকে আমার মাতার কবর জিয়ারতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা তোমাদের মৃতদের কবর জিয়ারত কর। কেননা, তা তোমাদের আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৫৭১)
কবর জিয়ারত যে কোনো দিনে যে কোনো সময়ে করা যেতে পারে। কোনো বিশেষ দিনে বা বিশেষ সময়ে কবর জিয়ারতের জন্য বিশেষ ফজিলতের বিষয়ে কোনো সহিহ হাদিস নেই। এ বিষয়ে একটি প্রচলিত হাদিস আছে যে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি জুমায় তার মা-বাবা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে।’ (আল মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৬১১৪)।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি আগে তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম; এখন থেকে তোমরা কবর জিয়ারত কর। কেননা তা দুনিয়া বিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ‘ (ইবনে মাজাহ)