
প্রতীকী ছবি
এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন আরো ২ হাজার ৪১৫ জন। সৌদি আরব সরকার কোটা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের আরো ২ হাজার ৪১৫ জনকে হজ পালন করার অনুমতি দিয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের গতকাল বুধবার (২২ জুন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এবার হজ মৌসুমের জন্য রাজকীয় সৌদি সরকারের বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা অতিরিক্ত ২৪১৫ জন হজযাত্রীর কোটা বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে। বরাদ্দ প্রাপ্ত অতিরিক্ত ২৪১৫ হজযাত্রী কোটার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ১১৫ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৩০০ জন কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মিলে মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। সরকার তার সাথে নতুন করে আরো ২ হাজার ৪১৫ জনকে হজ করার সুযোগ দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই বছর মোট ৬০ হাজার বাংলাদেশি হজ করার সুযোগে পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ হতে পারে। এবছরের হজযাত্রীদের মধ্যে ৪ হাজার ১৫৫ জন সরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় এবং বাকিরা বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।
গত ৫ জুন থেকে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা যাত্রা শুরু করেছেন। বুধবার (২২ জুন) পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৩১ হাজার ৫৩৯ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৮৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৮ হাজার ১৫৪ জন হজ পালনে গেছেন।
এদিকে সৌদিতে হজ পালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ছয় হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।