অশ্লীলতাকে আল্লাহতায়ালা হারাম করেছেন। অশ্লীলতা মানুষের দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস করে। মানুষের আমল-আখলাত নষ্ট করে দেয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। 

চলাফেরার পথে বিভিন্ন অশ্লীল বিষয় আমাদের চোখে পড়ে। যা বড় ধরণের পাপাচারের দিকে নিয়ে যায়। বর্তমানে প্রযুক্তি অপব্যবহারের ফলে মানুষ নানান ধরনের অন্যায়-অপরাধ তথা অশ্লীলতায় নিয়োজিত হচ্ছে।

ইমাম কুরতবী রহ. বলেন, চোখ অন্তরে কোনো কিছু প্রবেশের বড় দরজা। চোখের কারণেই মানুষের পদস্খলনটি বেশি হয়। ফলে চোখ থেকে অধিক সতর্ক হতে হবে। নিষিদ্ধ বস্তু ও ফিতনার আশঙ্কা থাকে এমন সব বস্তুর দিকে তাকানো থেকে চোখকে অবনত রাখতে হবে। চোখ অবনত রাখার অর্থ, একজন মুসলিম নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকবে, সে শুধু বৈধ বিষয়সমূহ দেখবে। আর যদি অনিচ্ছায় কোনো নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে নজর পড়ে যায়, তবে সাথে সাথে তা ফিরিয়ে নেবে। দৃষ্টিকে দীর্ঘায়িত করবে না।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’ সূরা: নূর, ৩০।

অশ্লীলতা ও মনের খারাপ আসক্তি থেকে রক্ষা পেতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সাহাবিকে একটি দোয়া শিখিয়েছেন। দোয়াটি হলো,

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি, ওয়া মিন বাচারি ওয়া মিন শাররি লিসানি ওয়া মিন শাররি ক্বালবি ওয়া মিন শাররি মানিয়্যি।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কানে মন্দ কথা শোনা থেকে আশ্রয় চাই। চোখ দিয়ে মন্দ কিছু দেখা থেকে আশ্রয় চাই। জিহ্বা দিয়ে মন্দ কিছু বলা থেকে আশ্রয় চাই। অন্তরের খারাপ চিন্তা থেকে আশ্রয় চাই। দেহের কামনা-বাসনার খারাপ চিন্তা থেকেও আশ্রয় চাই।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ,২০/১৪৮৪)

এছাড়া আরো একটি দোয়ার কথা এসেছে হাদিসে,

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি, ১৯/১৪৮৪)