Logo
×

Follow Us

ধর্ম

ইশরাকের নামাজের ফজিলত

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৪

ইশরাকের নামাজের ফজিলত

প্রতীকী ছবি

ইশরাক শব্দের অর্থ হলো আলোকিত হওয়া। সূর্য উঠার পর জগত আলোকিত হয় বলে এ সময় হাদিসে যে নামাজের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, মুহাদ্দিসিনে কেরামগণ তাকে সালাতুল ইশরাক বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য ওঠার সাথে সাথে এ নামাজ পড়তেন না বরং একটু সময় নিয়ে আদায় করতেন। 

ইশরাক নামাজের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা কোনো নিয়ম ও নিয়ত নেই। অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। শুধু নফল অথবা ইশরাকের দুই রাকাত পড়ছি এমন নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে শুরু করলেই হবে। -(মাজমাউল ফাতাওয়া, ১১/৩৮৯)

এ নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনায় একাধিক হাদিসে এসেছে-

ইশরাকের নামাজের ফজিলতের বিষয়ে আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করল এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকল; অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করল, সে একটি পরিপূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৫৮৬)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুই রাকাতের সাথে আরো দু’রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। ইশরাকের নামাজের সাথে আরো দুই রাকাত নামাজ পড়লে এর ফলে বান্দার সব কাজের জিম্মাদার হয়ে যান আল্লাহ তায়ালা।

ইশরাকের নামাজের সাথে আরো দুই রাকাত নামাজের বিষয়ে হাদীসে কুদসিতে এসেছে- ‘আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন, বান্দা যদি সকালে চার রাকাত নামাজ পড়ে, সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দার যত কাজ আছে আমি আল্লাহ তার সব কাজের জিম্মাদার হয়ে যাই। (জামে তিরমিযী ১/১০৮)

হজরত আবু দারদা ও আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তারা বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে বানী আদম! তুমি আমার জন্য দিনের প্রথমে চার রাকাত নামাজ আদায় কর। আমি তোমার জন্যে যথেষ্ট হবো দিনের শেষ পর্যন্ত।-(তিরমিজি, ৪৭৫, আত-তারগীব, ৬৭২)

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫