
প্রতীকী ছবি।
জুমার দিনে মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা বলা আছে হাদিসে। এর মধ্যে একটি আমল হচ্ছে দরুদ পাঠ। দরুদ শরীফ পাঠে একসাথে আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের কাছে প্রিয় তাসবিহ হলো দরুদ পাঠ।
আল্লাহ তায়াল পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁহার ওপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।’ (সূরা: আহযাব, আয়াত: ৫৬)।
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত এবং সমুদ্র জুমার দিনকে ভয় করে।’ কারণ এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল বিশেষ ৩টি ঘটনা। আছে বিশেষ একটি মুহূর্ত আরও একটি বিশেষ ঘটনা ঘটবে। যে কারণে কল্যাণের সব চাওয়া-পাওয়ার আবেদন ও ইবাদতের জন্য জুমার দিনের বিকল্প নেই।
তিনি আরোও বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।
হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (স.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)
আবু উমামা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব: ১৫৭)