
প্রতীকী ছবি।
মানবজাতীকে পথভ্রষ্ট করায় শয়তানের প্রধান কাজ। পৃথিবীর সব স্থানে তার অবাধ বিচরণ। জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময়েই সে মহান আল্লাহর কাছ থেকে এ শক্তি চেয়ে নিয়েছে।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আদম সন্তানদের পথভ্রষ্ট করার জন্য আমি অবশ্যই আপনার সরল পথের ওপর বসে থাকব। অতঃপর আমি অবশ্যই তাদের কাছে আসব তাদের সামনে, পেছনে, ডানে, বামে সবদিক থেকে। আর তখন আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।’ -(সূরা আরাফ: ১৪-১৭)
ঘর মানুষের নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু এই ঘরেও শয়তান প্রবেশ করে অশান্তির রাজত্ব কায়েম করে, অশান্তি সৃষ্টি করে। তাই শয়তানের প্রভাব থেকে নিজেকে ও ঘরকে সুরক্ষিত রাখা জরুরি। ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখা যায় এমন কিছু আমলের কথা নবীজি (সা.) বলেছেন।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানাবে না। নিশ্চয়ই যে ঘরে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা হয়, সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে’ (তিরমিজি : ৪/১৪৬)। কারণ এ সুরা তেলাওয়াত করলে এবং তাতে যা রয়েছে সে অনুযায়ী আমল করলে শয়তান তাদের প্রতারণা ও গোমরাহ করা থেকে নিরাশ হয়ে যায়।’
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যখন নিজ ঘরে প্রবেশ করার পর খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন তার সহযোগীদের বলতে থাকে, ‘এই ঘরে তোমাদের কোনো থাকার জায়গা নেই। আর এই ঘরে তোমাদের রাতের খাবারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। আর যদি কোনো ব্যক্তি ঘরে ঢুকে এবং প্রবেশের সময় আল্লাহকে স্মরণ না করে, তখন শয়তান তার সহযোগীদের বলে, তোমরা তোমাদের থাকার জায়গা পেয়ে গেছ।’ আর সে যদি খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ না করে, তখন শয়তান তার সহযোগীদের বলে, ‘এই ঘরে তোমরা তোমাদের থাকার জায়গা ও রাতের খাবার পেয়ে গেছ।’ (মুসলিম : ১/৫৩৯)