
যে সদকা বেশি সওয়াবের
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক সাহাবি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, কোন সদকার সওয়াব বেশি পাওয়া যায়? তিনি (সা.) বলেন, সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় তোমার সদকা করা যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশা রাখবে। সদকা করতে এ পর্যন্ত দেরি করবে না, যখন প্রাণবায়ু কণ্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে। (বুখারি, হাদিস : ১৪১৯)
ভিক্ষাবৃত্তি ইসলামে অপছন্দনীয়
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) একদা মিম্বরের ওপর থাকা অবস্থায় সদকা করা ও ভিক্ষা করা থেকে বেঁচে থাকা ও ভিক্ষা করা প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, ওপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা উত্তম। ওপরের হাত দাতার, আর নিচের হাত হলো ভিক্ষুকের। (বুখারি, হাদিস : ১৪২৯)
সদকার জিনিস ধরে রাখতে নেই
উকবাহ ইবনে হারিস (রা.) বলেন, একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) আসরের নামাজ আদায় করে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করলেন। অতঃপর বিলম্ব না করে বের হয়ে এলেন। আমি বললাম বা তাকে বলা হলো, এমনটি করার কারণ কী? তখন তিনি বলেন, ঘরে সদকার একখণ্ড সোনা রেখে এসেছিলাম, কিন্তু রাত পর্যন্ত তা ঘরে থাকা আমি পছন্দ করিনি। কাজেই তা বণ্টন করে দিয়ে এলাম। (বুখারি, হাদিস : ১৪৩০)
সদকা প্রদানে রাসুলের উৎসাহ
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ঈদের দিন বের হলেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন, এর আগে ও পরে কোনো নামাজ আদায় করেননি। এরপর তিনি বিলাল (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে নারীদের কাছে গেলেন। তাদের উপদেশ দিলেন এবং সদকা করার নির্দেশ দিলেন। তখন নারীরা কানের দুল ও হাতের কংকন ছুড়ে মারতে লাগলেন। (বুখারি, হাদিস : ১৪৩১)