
ধূমপান। প্রতীকী ছবি
মানুষের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর মহান আল্লাহ তায়ালা সেগুলোকে হারাম করেছে। আর এসব হারাম ও ক্ষতিকর বিষয় থেকে দূরে থাকার আদেশ দিয়েছে। ধূমপান অন্যতম হারাম দ্রব্য। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের কারণে প্রতিবছর ৫৮ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। জেনে শুনেও মানুষ ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করে না। নিজের জান-মালের ক্ষতি করে। ইসলামের দৃষ্টিতে নিজের ক্ষতি করা গুনাহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(তোমরা) নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধূমপানের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকের প্রতি খেয়াল রেখে ইসলামী আইনজ্ঞরা ধূমপান করাকে মাকরুহ বলে থাকেন। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১/৪০৬)।
ধূমপানের কারণে মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে নামাজ কবুল হয় না।, ধূমপান করে নামাজে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরূহ। হাদীস শরীফে ধূমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত্ত কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
অতএব বিড়ি-সিগারেটের তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। অবশ্য এ কারণে নামাজ ত্যাগ করা যাবে না এবং মসজিদে গমনাগমনও বন্ধ করা যাবে না। বরং অতি দ্রুত এ বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। আর নামায আদায়ের পূর্বে এবং মসজিদে প্রবেশের আগে ভালো করে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে। -(ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমা ১৩/৫৬; আলফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ ১০/১৪৫; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬১)