Logo
×

Follow Us

প্রতিবেদন

বাড়তে পারে যে সব পণ্যের দাম

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১৬:১৭

বাড়তে পারে যে সব পণ্যের দাম

এআই দিয়ে বানানো ছবি

উচ্চ মূল্যস্ফীতিকালে প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে বেশ কিছু পণ্য ও সেবায় শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের নিত্যব্যবহার্য কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। যাতে বাড়বে জীবনযাপনের ব্যয়ও।

প্রতিবছর বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক-কর বাড়িয়ে থাকে। এতে বাজারে সেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।

ফ্রিজ-এসি

কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনারের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে দেশীয় ফ্রিজ-এসির দাম বাড়তে পারে। পাশাপাশি বিদেশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানি বাড়তে পারে।

মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে হ্রাসকৃত ভ্যাটহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। উৎপাদনের ক্যাটাগরি ভেদে দুই থেকে আড়াই শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে এ খাতে। এতে দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।

ব্লেড

সেলুনে শেভিং কাজে ব্যবহৃত ব্লেডের দাম বাড়তে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্টেইনলেস স্টিলের স্ট্রিপ থেকে প্রস্তুত ব্লেড এবং কার্বন স্টিলের স্ট্রিপ থেকে প্রস্তুতকৃত ব্লেডের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

বাস-ট্রাক

বাস-ট্রাকের চেসিস বিদেশ থেকে আমদানির পর দেশে বডি প্রস্তুত করে রাস্তায় চলাচলের উপযোগী করা হয়। বাস-ট্রাকের বডি বানানোর ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এতে বাস-ট্রাকের দাম বাড়তে পারে।

টেবিলওয়্যার

বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেটসামগ্রী উৎপাদনে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

সুতা

দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। প্রতি কেজি কটন সুতা ও ম্যান মেড ফাইবারে তৈরি সুতার সুনির্দিষ্ট কর তিন টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করা হয়েছে। এতে দেশীয় সুতায় তৈরি গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বাড়তে পারে।

রড

রড, এঙ্গেল বার তৈরির প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের সুনির্দিষ্ট করের পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বিলেট-ইনগট সুনির্দিষ্ট কর এবং স্ক্র্যাপ গলানোর রাসায়নিকের ফেরো ম্যাঙ্গানিজ ও ফেরো সিলিকা ম্যাঙ্গানিজের শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিধায় নির্মাণসামগ্রীর প্রধান উপকরণ রডের দাম বাড়তে পারে।

হেলিকপ্টার

নতুন অর্থবছরে হেলিকপ্টার আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে। তাতে হেলিকপ্টার আমদানির খরচ বাড়বে।

কসমেটিক্স

নারীদের সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত লিপস্টিক, লিপলাইনার, আইলাইনার, ফেসওয়াশ, মেকআপের সরঞ্জাম আমদানির ন্যূনতম মূল্য বিভিন্ন হারে বাড়ানোরে প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লিপস্টিক আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য ২০ ডলার আছে। সেটি বাড়িয়ে ৪০ ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে অন্য সব কসমেটিক্সের ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাজেটের পর এসব সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।

বিদেশি চকোলেট

চকোলেটের দামও বাড়তে পারে। চকলেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত এ বাজেটে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চকলেটের শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য চার ডলার। এটি বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। এতে আমদানি করা সব ধরনের চকোলেটের দাম বাড়তে পারে।

খেলনা

স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বাজেটে বিদেশি খেলনার ট্যারিফ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এতে বিদেশি খেলনার দাম বাড়বে।

মার্বেল-গ্রানাইট

বাসা-বাড়ির মেঝেতে ব্যবহৃত মার্বেল-গ্রানাইড পাথর আমদানির সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শাতংশ করা হয়েছে। এতে মার্বেল-গ্রানাইডের দাম বাড়তে পারে।

মোটর

ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণে এতে ব্যবহৃত ৭৫০ ওয়াটের ডিসি মোটরের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়াও দাম বাড়তে পারে- মাখন, তারকাঁটা, সব ধরনের স্ক্রু, নাট-বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার, পোল ফিটিংস, সেল্ফ কপি পেপার, ডুপ্লেক্স বোর্ড/কোটেড পেপার, প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ান টাইম গ্লাস, বাটি, প্লেট ইত্যাদি; তামাক বীজ, মোটরসাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ফুড সাপ্লিমেন্ট, বেভারেজ আইটেম, দরজার তালার।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫