ডিজেল: পরিবহন খাতে ‘বাড়তি মুনাফা ৫ হাজার কোটি’, যাত্রীর কী লাভ

নিশাত বিজয়
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১৩:৪৭

সরকার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের যে নীতি নিয়েছে, তার পুরো সুফল পরিবহন মালিকরাই উপভোগ করছেন। ডিজেলের দাম পৌনে তিন বছরের মধ্যে লিটারে প্রায় ১২ টাকা কমার ফলে পরিবহন খাতে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ সুফল থেকে যাত্রীদের কোনো অংশই ভাগ্যে পড়েনি। কারণ এই সময়ে বাস ভাড়া কমেনি।
অর্থনীতির গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেছেন, এভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমার কোনো সুফল পাচ্ছে না জনগণ। এই সুফল নিয়ে নিচ্ছে পরিবহন মালিকরা।
বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের শর্ত মেনে। কিন্তু এতে জনগণের ভাগে কোনো লাভ যাচ্ছে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে কোনো মূল্যায়ন হয়নি।
এই সময়ে দুইবার তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের পর সরকার বাসভাড়া কিলোমিটারপ্রতি যথাক্রমে ৫ পয়সা ও ৩ পয়সা করে কমানোর ঘোষণা দিলেও তার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারও এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উদ্যোগই নেই। সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলছেন, তাদের ‘সীমাবদ্ধতা’ আছে।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন নেতা দাবি করেছেন, তেলের দাম দুই টাকা বা আড়াই টাকা কমালে বাস ভাড়ায় প্রভাব পড়া সম্ভব নয়।
সবশেষ ৩১ মে মধ্যরাত থেকে ডিজেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমার পর পরিবহন মালিকদের খরচ আবার কমেছে।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তেলের দাম ওঠা-নামায় ডিজেলের দাম সর্বনিম্ন ৭৫ পয়সা থেকে শুরু করে একবার সর্বোচ্চ ৫ টাকা কমেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিটারে এক টাকা, দেড় টাকা বা দুই টাকা কমেছে। এই পরিমাণ দাম কমার পর বাস ভাড়ার বিষয়টি আলোচনাতে আসেনি।
দেশে যে জ্বালানি তেল ব্যবহার হয় তার ৭৫ শতাংশই ডিজেল। বাস, ট্রাক, নৌযানেই এর ব্যবহার বেশি। এর বাইরে চালকল, পাম্প, জেনারেটর, সেচেও কিছু ব্যবহার হয়। তবে মোট তেলের সিংহভাগেই যায় পরিবহন খাতে।
তেলের দাম বাড়লে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য চাপ দিতে পরিবহন ধর্মঘট বহুবার হয়েছে, কিন্তু ধাপে ধাপে দাম কমলে বিষয়টি আলোচনাতেই থাকে না।
তেলের সর্বোচ্চ দর আর বর্তমান দরের পার্থক্য কত
২০২২ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড স্তরে পৌঁছায়। অকটেনের দাম লিটার প্রতি ১৩৫ টাকা, পেট্রল ১৩০ টাকা এবং ডিজেলের দাম নির্ধারণ হয় ১১৪ টাকা।
সেবার সরকার ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর বাসভাড়া বাড়ে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা।
জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে এই সিদ্ধান্তের আগে দূরপাল্লায় যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া ছিল কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা, সেখান থেকে ভাড়া ২২ শতাংশ বেড়ে হয় ২ টাকা ২০ পয়সা।
ঢাকা মহানগরের বাসভাড়া কিলোমিটারে বাড়ে ৩৫ পয়সা, ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে হয় ২ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ৩১ মে পুনর্নির্ধারণের পর এখন ডিজেলের দাম স্থির হয়েছে ১০২ টাকা, অর্থাৎ ২ বছর ১০ মাসে লিটারপ্রতি দাম কমেছে ১২ টাকা।
অর্থাৎ কোনো বাসে যদি দিনে ১০০ লিটার তেল লাগে, দাম কমার কারণে মালিকের খরচ সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা, মাসে ৩৬ হাজার টাকা।
দাম পুনর্নির্ধারণের পর বাস ভাড়ার কী হয়েছে
বাংলাদেশের ইতিহাসে জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণের ২১ দিন পর ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট তেলের দাম কিছুটা কমানো হয়।
ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোলের দামও ১৩০ থেকে ১২৫ টাকায় নামানো হয়।
এই হ্রাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস বাস ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ৫ পয়সা কমিয়ে দূরপাল্লায় ২.১৫ টাকা হয় এবং ঢাকা মহানগরে ২.৪৫ পয়সা কমানোর ঘোষণা আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর তরফে। কিন্তু বাস্তবে বাস ভাড়া কমেনি।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ডিজেলের দাম লিটার ৭৫ পয়সা, পেট্রলের দাম ৩ টাকা এবং অকটেনের দাম কমানো হয় ৪ টাকা।
২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ডিজেলের দাম আরও ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে লিটারপ্রতি ১০৬ টাকা করা হয়।
সে সময় বিআরটিএ বাস ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ৩ পয়সা কমিয়ে দূরপাল্লায় ২ টাকা ১২ পয়সা এবং মহানগরে ২ টাকা ৪২ পয়সা করে।
এবারও তেলের দাম কমার সুফল ঘরে তোলেন পরিবহন মালিকরা; সরকারের কোষাগারে আগের তুলনায় কিছুটা কম টাকা গেলেও তার সুফল জনতার ভাগে আসেনি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ডিজেলের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৫ টাকা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৩০ এপ্রিল এক টাকা কমিয়ে আবার ১০৪ টাকা করা হয়।
এরপর আসে ৩১ মের এই পরিবর্তন। এবার কাগজেকলমেও বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ হয়নি।
পরিবহন খাতে বাড়তি লাভ কত?
চলতি বছর দেশে ডিজেলের চাহিদা ধরা হয়েছে ৭৪ লাখ টন। এই চাহিদার আনুমানিক ৬৫ শতাংশই ব্যবহার হয় গণপরিবহনে। অর্থাৎ পরিবহন খাতে ব্যবহার হবে ৪৮ লাখ টনের মতো।
লিটারে ১২ টাকা করায় ২০২২ সালের আগস্টের তুলনায় ডিজেল বিক্রিতে সরকারের মুনাফা কম হবে ৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে পরিবহন খাতে যে ডিজেল ব্যবহার হবে, ২০২২ সালের আগস্টের তুলনায় সেই তেলের খরচ কম হবে ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার মতো। এর পুরো সুফলই পাবে মালিকপক্ষ।
অর্থনীতির গবেষণা প্রতিষ্ঠা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পরিবহনের জ্বালানি ছাড়া অন্য খরচ অপরিবর্তত থাকে। ফলে তেলের দাম কমার ফলে যেটুকু কমানো উচিত তারা যদি ভাড়া না কমায় তাহলে অতিরিক্ত মুনাফা তাদের (পরিবহন মালিকদের) পকেটে যায়।”
পেট্রল, আর অকটেন প্রধানত উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণি গাড়িতে ব্যবহার করে। মোটরসাইকেলে নিম্ন মধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্তরাও এই তেল ব্যবহার করে। ইদানীং মোটর সাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন বাড়ায় কিছুটা সুফল অবশ্য এই চালকরা পেয়েছেন।
২০২২ সালের আগস্টে পেট্রলের দাম লিটারে ১৩০ টাকা আর অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পেট্রল কিছুটা কমে এখন ১১৮ আর অকটেন হয়েছে ১২২ টাকা।
যাত্রীর লাভ কোথায়?
কিশোরগঞ্জের সংবাদকর্মী রাকিবুল হাসান রোকেল বলেন, “তেলের দাম কমলেও, আমাদের বাস ভাড়া কেন কমল না? এটা আমাদের বোঝা কঠিন। আমরা যেন প্রতারিত হচ্ছি।”
তিনি বলেন, “তেলের দাম বাড়ানোর পর আমাদের জেলা থেকে ঢাকায় বাস ভাড়া ঠিক করা হয় ৩৩০ টাকা। আমার ধারণা, যদি সেখান থেকে তেলের দাম ১২ টাকা বাড়ত, তাহলে বাস ভাড়া এখন ৩৫০ টাকা হয়ে যেত।”
যাত্রীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এর দায় দিয়েছেন সরকারকে। তিনি বলেন, বিআরটিএ নজরদারি করলে মালিকদের একচেটিয়া আধিপত্য এতোটা বাড়ত না।
তিনি বলেন, “তেলের দাম বাড়ানোর পর ভাড়া বাড়ানোর জন্য বিআরটিএ-তে মালিকদের যে তৎপরতা দেখা যায়, তেলের দাম কমলে সেটা থাকে না। এটা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা।”
যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা আরেক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, “তেলের দাম কমানোর পরে কাগজেকলমে দুইবার ভাড়া কমলেও তার প্রচার চালানো হয় না। কারণ যাতে যাত্রীরা প্রশ্ন তুলতে না পারে।”
তিনি মনে করেন, “ডিজেলের দাম বাড়লে যেভাবে প্রতিটি বাসে নতুন তালিকা টানানো হয়, তেমনি দাম কমলেও তা বাধ্যতামূলক করা উচিত।”
ঢাকায় আদায় দ্বিগুণেরও বেশি
সরকার ঢাকায় সর্বনিম্ন বাসভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে ১০ টাকা। এই ভাড়ায় এখন সোয়া চার কিলোমিটার যাওয়ার সুযোগ থাকার কথা। কিন্তু নানা কৌশলে পরিবহন কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আড়ায় করে।
আসলে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়ার কোনো হিসাবই শহরে নেই। যাত্রাবিরতি হিসাবে কখনও ওয়েবিল বা কখনও অন্য হিসাবে চার কিলোমিটার পথের ভাড়া ২০ টাকা বা তার চেয়ে বেশিও আদায় করা হয়।
ঢাকার হাতিরঝিলে চক্রাকার যে বাস, সেখানে সর্বনিম্ন ভাড়া আদায় করা হয় ২০ টাকা, দুই কিলোমিটার বা ৪ কিলোমিটারের জন্যও এই হারে ভাড়া আদায় করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে এলিফ্যান্ট রোডে নিয়মিত যাতায়াত করেন প্রকাশনা সংস্থায় কর্মরত আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, “এ পথে যেতে কেউ ১০ টাকা আবার কেউ ১৫ টাকা নেয়। ভাড়া পয়সার হিসেবে কমলেও এর কোনো সুফল আমরা পাই না।”
ঢাকার নগর পরিবহনের অভিজ্ঞতা আমূল পাল্টে দেওয়ার ঘোষণা করে দুই সিটি করপোরেশন এবং সরকারের সংশ্লিষ্টতায় চালু করা ঢাকা নগর পরিবহনেও যাত্রী ঠকানোর এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
২০২৩ সালের শুরুতে ঢাকা নগর পরিবহনের রুটে ৫৬টি বাস চালু করা হয়। ভাড়া নির্ধারণ করা হয় কিলোমিটারপ্রতি ২.২০ টাকা। তখন ডিজেলের দাম ছিল ১১০ টাকা। ডিজেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমলেও এখনও ভাড়া আগের হারেই।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, তারা ভাড়া কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তবে তা অনুমোদন হয়নি।
ঢাকায় বাসভাড়ায় যাত্রীদের ঠকে যাওয়া নিয়ে বছরের পর বছর ধরে লেখালেখি চলছে, কিন্তু কোনো সরকারই এর সুরাহা করতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সংস্কারের কথা বললেও পরিবহন খাতে যাত্রীদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে কোনো উদ্যোগই নেয়নি।
উপদেষ্টা তুললেন সীমাবদ্ধতার কথা
তেলের দাম কমার পর বাস ভাড়া না কমার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি, জরিমানা করছি এমনকি একটি পরিবহনের লাইসেন্সও বাতিল করেছি।
তবে ও ম্যাজিস্ট্রেট স্বল্পতা ও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।”
তেলের দামের সঙ্গে বাসভাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্নির্ধারণের সুযোগ আছে কি না, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “ঈদের পরে অফিস শুরু হলে আলোচনা করে দেখব আমরা পরীক্ষামূলকভাবে যেন চালু করতে পারি।”
পরিবহন মালিকদের সেই ‘পুরনো কথা’
ভাড়া কমানোর আলোচনা উঠলেই পরিবহন মালিকরা সব সময় তেল ছাড়াও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির দাবি তোলেন।
তেলের দাম একাধিকবার কমার পরেও কেন বাস ভাড়া কমেনি, এই প্রশ্নে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সেই একই কথা তুললেন।
প্রথমে তিনি বললেন, “তেলের দাম কখনও ২ টাকা, কখনও ৩ টাকা, কখনও ৭৫ পয়সা কমলে কি আর বাস ভাড়া কমে?”
কিন্তু এই করে তো লিটারে ১২ টাকা কমে গেল, এখন কেন কমবে না?- এই প্রশ্নে তিনি বললেন, “তেলের দাম কমেছে ঠিক আছে, কিন্তু গাড়ির দাম বাড়ছে, বেড়েছে অন্যান্য যন্ত্রাংশের দামও বেড়েছে। সেটার ওপর নির্ভর করেই কস্টিং করতে হবে কমিটিকে।”
তবে বিআরটিএর ভাড়া নির্ধারণ কমিটি সিদ্ধান্ত নিলে সেটা মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর একজন কর্মকর্তা বলেন, “ভাড়া নির্ধারণে মালিকপক্ষের ‘চাপ’ সবচেয়ে বেশি কাজ করে। তারা যুক্তি দেখান, জ্বালানি ছাড়াও খুচরা যন্ত্রাংশ, টায়ার, গ্যারেজ ভাড়া, কর্মচারীর বেতন—সবই বেড়েছে।
ফলে ডিজেলের দাম কমলেও ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই।”