টাকা পাচারে অভিযুক্তদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১৫:১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি মনে করে, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে ‘কম গুরুতর’ ঘটনাগুলো সমাধানে এটি একটি উপায় হতে পারে।
মনসুর জানিয়েছেন, সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক মামলা করা হবে। এজন্য তিনি ১০ কোটি ডলারের মামলা পরিচালনা তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করছেন।
ফিনান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, হাসিনা ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, হাসিনা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোকেরা দেশের বাইরে কোটি কোটি ডলার পাচার করেছে।
লন্ডন সফরে আসার আগে ঢাকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান এইচ মনসুর বলেন, টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের কর্মকাণ্ডের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, “যদি আইন লঙ্ঘনের মাত্রা হালকা হয়, তাহলে আমরা দেওয়ানি মামলা করব। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমঝোতাও এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ হতে পারে।”
তবে কারা এ ধরনের প্রক্রিয়ার লক্ষ্যবস্তু হবেন সেটি নির্দিষ্ট করে বলেননি মনসুর।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার পরিবারসহ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকা পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া সরকার দেশের ভেতরে অনেকের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে রেখেছে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার করা হয়েছে।
মনসুর জানান, আন্তর্জাতিক মামলা পরিচালনায় অর্থ জোগানো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের বাংলাদেশে এসে সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মামলা পরিচালনায় অর্থের জোগান দেওয়া সংস্থাগুলোর খরচের মধ্যে আছে আইনজীবীর ফি, আদালতের ব্যয় ইত্যাদি। বিনিময়ে তারা মামলায় সফল হলে সমঝোতার ভিত্তিতে বা পুরস্কার হিসেবে কিংবা আগেই ঠিক করা অর্থ নিয়ে থাকে।
মনসুর বলেন, “আমরা লিটিগেশন ফান্ডিংয়ের দিকে নজর দিচ্ছি। এ নিয়ে খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আমরা চাই, যতটা সম্ভব অর্থ এ উৎস থেকে জোগাড় করা।”
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক লিটিগেশন ফান্ডার (মামলার অর্থ জোগানদাতা) অমনি ব্রিজওয়ে জানিয়েছে, তাদের নির্বাহীরা এ বছরের প্রথমার্ধে ঢাকায় সফর করেছেন। তারা মনসুরসহ ১৬টির বেশি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছেন।
অমনি ব্রিজওয়ের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইগার উইলিঙ্গা বলেন, “আমরা, বিশেষ করে বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করা অর্থ সংশ্লিষ্ট খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে সহায়তা করতে গভীর আগ্রহ জানিয়েছি।”
তিনি মনে করে, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে ‘কম গুরুতর’ ঘটনাগুলো সমাধানে এটি একটি উপায় হতে পারে।
মনসুর জানিয়েছেন, সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক মামলা করা হবে। এজন্য তিনি ১০ কোটি ডলারের মামলা পরিচালনা তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করছেন।
ফিনান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, হাসিনা ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, হাসিনা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোকেরা দেশের বাইরে কোটি কোটি ডলার পাচার করেছে।
লন্ডন সফরে আসার আগে ঢাকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান এইচ মনসুর বলেন, টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের কর্মকাণ্ডের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, “যদি আইন লঙ্ঘনের মাত্রা হালকা হয়, তাহলে আমরা দেওয়ানি মামলা করব। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমঝোতাও এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ হতে পারে।”
তবে কারা এ ধরনের প্রক্রিয়ার লক্ষ্যবস্তু হবেন সেটি নির্দিষ্ট করে বলেননি মনসুর।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার পরিবারসহ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকা পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া সরকার দেশের ভেতরে অনেকের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে রেখেছে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার করা হয়েছে।
মনসুর জানান, আন্তর্জাতিক মামলা পরিচালনায় অর্থ জোগানো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের বাংলাদেশে এসে সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মামলা পরিচালনায় অর্থের জোগান দেওয়া সংস্থাগুলোর খরচের মধ্যে আছে আইনজীবীর ফি, আদালতের ব্যয় ইত্যাদি। বিনিময়ে তারা মামলায় সফল হলে সমঝোতার ভিত্তিতে বা পুরস্কার হিসেবে কিংবা আগেই ঠিক করা অর্থ নিয়ে থাকে।
মনসুর বলেন, “আমরা লিটিগেশন ফান্ডিংয়ের দিকে নজর দিচ্ছি। এ নিয়ে খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আমরা চাই, যতটা সম্ভব অর্থ এ উৎস থেকে জোগাড় করা।”
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক লিটিগেশন ফান্ডার (মামলার অর্থ জোগানদাতা) অমনি ব্রিজওয়ে জানিয়েছে, তাদের নির্বাহীরা এ বছরের প্রথমার্ধে ঢাকায় সফর করেছেন। তারা মনসুরসহ ১৬টির বেশি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছেন।
অমনি ব্রিজওয়ের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইগার উইলিঙ্গা বলেন, “আমরা, বিশেষ করে বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করা অর্থ সংশ্লিষ্ট খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে সহায়তা করতে গভীর আগ্রহ জানিয়েছি।”