Logo
×

Follow Us

প্রতিবেদন

লাকি ব্যাম্বু যাচ্ছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে

Icon

আতিকুর রহমান আতিক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫৬

লাকি ব্যাম্বু যাচ্ছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে

নাম তার লাকি ব্যাম্বু বা ‘ভাগ্যবান বাঁশ’। উদ্ভিদটির আদি নিবাস ‘মধ্য আফ্রিকা’ মনে করা হয়। বাঁশগাছ বলা হলেও এই গাছ আসলে বাঁশ প্রজাতির নয়। বরং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলের লিলি প্রজাতির গাছ। অভিজাত বাসাবাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট হিসেবে মানুষের অন্যতম পছন্দের তালিকায় এখন এই লাকি ব্যাম্বু। চীনা ঐতিহ্য অনুসারে উদ্ভিদটি সৌভাগ্যের প্রতীক এবং মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি আনে বলে মনে করা হয়। তাই একে ‘ভাগ্যবান বাঁশ’ হিসেবে ভারত, চীন ও তাইওয়ানের মতো বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ‘অন্দরমহলের গাছপালা’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দিনদিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লাকি ব্যাম্বুর।

উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লাকি ব্যাম্বু। জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের হাফিজ ও হাসিবুল দুই ভাই মিলে চাষ করেছেন এই লাকি ব্যাম্বু। লাকি ব্যাম্বু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের টব এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে কয়েক বছরে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন দুই ভাই। এই বাঁশগাছ বাড়িতে রাখাকে শুভ বলে মনে করেন অনেকেই, তাই ঘর সাজাতে ব্যবহৃত হয় লাকি ব্যাম্বু।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কয়েকজন উদ্যোক্তা কৃষক প্রায় ছয় বিঘা জমিতে লাকি ব্যাম্বু চাষ করেছেন। জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের হাফিজ এবং হাসিবুল দুই ভাই মিলে ২০১৪ সালে প্রথমে ৫ শতক জমিতে লাকি ব্যাম্বুর চাষ করেন। সেখান থেকে লাভবান হওয়ায় এরপর থেকে তাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরে তারা তিন বিঘা জমিতে তিনটি প্লটে চাষ করছেন এই লাকি ব্যাম্বু। লাকি ব্যাম্বু দেখতে ডোরাকাটা সাদা, হলুদ, সবুজ ও গাঢ় সবুজ। দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। তাদের উৎপাদিত বাহারি ডিজাইনের টব এখন যাচ্ছে ওমান, কাতার, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে। লাকি ব্যাম্বু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের টব বিক্রি হয় দুই হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত। তাদের দেখে আগ্রহী হচ্ছেন গ্রামের অনেকেই। এমনকি  দুই ভাইয়ের বাগান পরিচর্যার কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক।

উদ্যোক্তা কৃষক হাফিজ জানালেন সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আছে তার।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, ‘জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কয়েকজন উদ্যোক্তা কৃষকও সম্প্রতি লাকি ব্যাম্বু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এটি একটি লাভজনক চাষাবাদ। এটি সম্প্রসারিত হলে কৃষকরা উপকৃত হবেন। আমাদের কৃষি বিভাগ তাদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছে।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫