Logo
×

Follow Us

গবেষণা

পাঙাশ মাছ থেকে তৈরি হবে বার্গার-চাটনি-পাস্তা-চিপস

Icon

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২২, ১৯:৩৫

পাঙাশ মাছ থেকে তৈরি হবে বার্গার-চাটনি-পাস্তা-চিপস

পাঙাশ মাছ থেকে উদ্ভাবিত পণ্য। ছবি বাকৃবি প্রতিনিধি

পাঙাশ মাছের মাংসল ও অব্যবহৃত অংশ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে বার্গার, চাটনি, আচার, পাস্তা ও চিপসসহ ১১টি পণ্য উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক। শুক্রবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় উদ্ভাবিত পণ্যগুলোর সাফল্যের তথ্য তুলে ধরেন গবেষক দলের প্রধান ড. ফাতেমা হক শিখা।

দেশে চাহিদার তুলনায় চাষকৃত পাঙাশ মাছের সরবরাহ বেশি। তবে কিছুটা কটু গন্ধের কারণে অনেকের কাছে অপছন্দ মাছটি। এছাড়া সঠিক সময়ে সরবরাহ ও সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার টন পাঙাশ মাছ। যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মাছ চাষিরা।

সবার কাছে মাছের পুষ্টি পৌঁছে দিতে এবং মাছ চাষিদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে গবেষণা শুরু করেন বাকৃবি’র ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক। যার ফলশ্রুতিতে পাঙাশ থেকে ১১টি পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন তারা।

পণ্যগুলো হলো- ফিশ বার্গার, ফিশ আঁচার, ফিশ চাটনি, ফিশ কাটলেট, ফিশ সসেজ, ফিশ পাপড়, ফিশ ফ্লেক, ফিশ চিপস, ফিশ ম্যাকারনি-পাস্তা, ফিশ জিলাটিন ও ফিশ গ্লু/আঠা।

উদ্ভাবিত পণ্য সংরক্ষণ সম্পর্কে গবেষক ড. শিখা জানান, পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায় ফিশ পণ্যগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বায়ুশূন্য পলিথিনের ব্যাগে ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। অন্যদিকে ভেজা খাবারগুলো ফ্রিজে তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। এছাড়া ফিশ আচার এবং চাটনি প্রায় ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব।

এই গবেষক আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মাছ খেতে পছন্দ করে না। তাই মাছের বিভিন্ন খাদ্য পণ্য তৈরির মাধ্যমে মাছের পুষ্টি তাদের কাছে পৌঁছানো আমাদের মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে উদ্ভাবিত পণ্যগুলো শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। তারা সহজেই এসব পণ্য গ্রহণের মাধ্যমে মাছের পুষ্টি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫