
সদ্যপ্রয়াত অরুণ জেটলি। ছবি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া।
ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্ষমতাসীন বিজেপি’র প্রবীণ নেতা অরুণ জেটলি মারা গেছেন। এনডিটিভি জানায়, আজ শনিবার সকালে দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নরেন্দ্র মোদীর বিগত সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হওয়ায় গত ৯ অগাস্ট নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এআইআইএমএস) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অরুণ জেটলিকে।
এআইআইএমএস শনিবার এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর কথা জানায়। ভর্তির পর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।
গত বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় অরুণ জেটলির কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি অসুস্থতার মধ্য দিয়েই চলছিলেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন অটল বিহারি বাজপাইর সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন পেশায় আইনজীবী অরুণ জেটলি।
মোদীর সরকারে মন্ত্রিত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জোটের রাজনীতিতে ভূমিকার জন্য অরুণ জেটলি ছিলেন আলোচিত।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মোদী বলেছেন, তিনি মূল্যবান একজন বন্ধুকে হারালেন।
জেটলির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে। তাঁর বাবা মহারাজ কিষাণ জেটলিও ছিলেন একজন আইনজীবী।
হিসাব বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেন অরুণ জেটলি। তিনি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা ছিলেন। দিল্লি ইউনিভার্সির ছাত্র সংসদের সভাপতিও ছিলেন তিনি।
ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত শতকের ৮০ দশকে বিজেপিতে সক্রিয় হন জেটলি। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে ছিলেন।
১৯৯৯ সালে বাজপাইর সরকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান অরুণ জেটলি; পরে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাঁর ওপর চেপেছিল।
কংগ্রেস আমলে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অরুণ জেটলি বিয়ে করেন কাশ্মীরের সাবেক অর্থমন্ত্রী গিরিধারী লাল ডোগরার মেয়ে সঙ্গীতাকে। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়েও আইনজীবী।