
ভারত জুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু আক্রান্তই নয়, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
সোমবার (২৩ মার্চ) কলকাতায় মারা গেছেন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধ। ভারতের ১৯ রাজ্যে জারি রয়েছে লকডাউন। যদিও লকডাউন ভাঙার প্রবণতাও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
দল বেঁধে রাস্তায় বেরোনোর প্রমাণ রবিবার জনতা কারফিউর দিন বিকেলে থালা, বাটি বাজানোর চিত্র থেকেই স্পষ্ট। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে পাঞ্জাবের এবার মহারাষ্ট্রে জারি হলো কারফিউ। সাধারণ মানুষ আইন ভেঙে রাস্তায় বেরোলে পড়তে হবে কড়া শাস্তির মুখে।
পুনে, নাগপুরসহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে থাবা বসিয়েছে করোনা। সে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৯। দেশে সর্বোচ্চ। মৃত্যুও হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রের অনেকের মধ্যেই লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙার প্রবণতা দেখা গেছে। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারির কথা ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবারের মহারাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাজের সীমান্ত সিলড করে দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। একটি জেলার সঙ্গে আরেকটি জেলার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যাতে যে সমস্ত জেলাগুলিতে এখনো করোনা ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়নি, সেখানে ছড়ানোর সুযোগও তৈরি না হয়।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রবিবারই লকডাউন ঘোষণা করেছিলো মহারাষ্ট্র সরকার। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবারই সেই লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নেমেছিল অনেকেই। তাই বাধ্য হয়েই সোমবার কারফিউ জারি করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। -এইসময়