Logo
×

Follow Us

দক্ষিণ এশিয়া

লোকসভা নির্বাচন: ভাগ্যনিয়ন্তার ভূমিকায় নাইডু-নীতীশ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ২২:২৩

লোকসভা নির্বাচন: ভাগ্যনিয়ন্তার ভূমিকায় নাইডু-নীতীশ

চন্দ্রবাবু নাইডু (বামে) ও নীতিশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করার পরই রাজনীতির মাঠে নতুন হিসাব শুরু হয়ে গেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো বিজেপির একার পক্ষে সরকার গঠন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আর এ সুযোগই এখন নিতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়া।

ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠনের প্রচেষ্টাকে অস্বীকার না করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, তারা জোটের বৈঠকে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

কংগ্রেসের একসময়ের মিত্র নাইডু ও নীতীশের দল এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট থেকে লড়ছে। তবে তাদের দুইজনের দল এমন পরিমাণ আসন পেতে যাচ্ছেন যে, যারাই সরকার গঠন করতে চাইবেন তাদেরকেই প্রয়োজন হবে নাইডু আর নীতীশের।

সর্বশেষ ফল অনুযায়ী, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ এগিয়ে ২৯০ আসনে, আর ইন্ডিয়া ২৩৫ আসনে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি এগিয়ে ২৩৯ আসনে। নাইডুর টিডিপি ১৬ এবং নীতীশের জেডিইউ ১২ আসনে এগিয়ে।

নাইডু ও নীতিশের দল মিলে পেতে যাচ্ছে ২৮ আসন। এখন এই দুই দল কোনো কারণে সমর্থন না দিলে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না। আবার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন দিলে, আরও কয়েকজনকে ভেড়াতে পারলে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় এসেছে নাইডু ও নীতীশ। 

কংগ্রেসের পুরোনো বন্ধু চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ কী করবে তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এদিনের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় রাহুলকে। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী কাল আমরা বৈঠকে বসছি।

চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার দুইজনই ভারতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বিজেপির ও কংগ্রেসের সঙ্গে বহুবার তারা জোট বেঁধেছেন ও ছেড়েছেন।

এবার তারা বিজেপির সঙ্গে জোট করলেও আগে থেকেই ভিন্ন হিসাব মাথায় রেখেছিলেন। বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপি ও জেডিইউ পরস্পরের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোট করেছেন। পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি তারা।

ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া থাকলেও ফল ঘোষণার পর সুবিধামতো যে কোনো সাবেক এই দুই মুখ্যমন্ত্রী অবস্থান পাল্টে ফেলতে পারেন বলে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। আর ভারতের আইনে ভোটের আগে জোট হলেও ভোটের পরেও একসঙ্গেই থাকতে হবে-এমন বাধ্যবাধকতা নেই।

ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতি হিন্দুত্বে গাজন নষ্ট করে ফেলেছে মোদির বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবিসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ঘাঁটি হারিয়েছে বিজেপি। মাত্র ১১ মাস আগে গড়া ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে লড়তে ঘাম ছুটে গেছে এনডিএর। আর এই সুযোগে তীব্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা প্রবীণরা মাঠে নেমেছেন বিজেপিকে চূড়ান্তভাবে বিদায় করে দিতে।

ইন্ডিয়া জোট গড়ার অন্যতম একজন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার গঠনের আগেই জোট সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিন বিকেলেই সাংবাদিকদের মমতা বলেন, আমি আমার সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি। যারা আছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। তাঁদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫