১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন, এগিয়ে কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ছবি: এপি
বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার ১০ বছর পর প্রথমবারের মতো ভোট হয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্মীরে ৯০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট (ইন্ডিয়া)।
এদিকে হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট গণনায় পিছিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, রাজ্যটিতে ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৩২টি আসনে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে হারের মুখ দেখতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত দুই জায়গাতেই বিজেপি হারের সম্মুখীন হতে পারে। দুই রাজ্যেই বিজেপির জন্যে বড় পরীক্ষা।
হরিয়ানায় টানা ১০ বছর সরকার চালিয়েছে বিজেপি। তবে কৃষক আন্দোলন এবং কুস্তিগিরদের আন্দোলনের জেরে সেখানে অস্বস্তিতে শাসকদল। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে এবারে বিধানসভা ভোট হয়েছে দীর্ঘ এক দশক পর। জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে - ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। এবারের ভোটে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট বেঁধে লড়ছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিকে লড়াইতে আছে মেহবুবা মুফতির পিডিপি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে বিজেপি এবং পিডিপি মিলে জোট সরকার গঠন করেছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। পরে সেই সরকার ভেঙে গিয়ে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। আর রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীনই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে। এদিকে এই নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এদিকে কংগ্রেস ৩৭০ ধারা নিয়ে কার্যত নিরব। তবে তারা জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইশতেহারে।
জম্মু ও কাশ্মীরের এই নির্বাচন বিজেপির জন্য একটি বড় পরীক্ষা। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার আগে থেকে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল। পরে রাজ্য ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয় জম্মু ও কাশ্মীর। এরপর থেকে দিল্লিরই কাঁধে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর শাসনের দায়িত্বভার। তবে গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হরিয়ানায় এবারের ভোটে ৯০টি আসনের জন্যে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১০৩১। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি, কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, জেজেপি নেতা তথা সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা। কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠা ভিনেশ ফোগটও।
হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফাতেই ভোট হয় গত ৫ অক্টোবর। আজ ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে এই রাজ্যে। হরিয়ানায় মূল লড়াই শাসকদল বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। তবে এই ভোটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল এবং তার নাতি সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার দল জননায়ক জনতা পার্টি।