Logo
×

Follow Us

দক্ষিণ এশিয়া

‘রাজাকার’ ইস্যুতে ভারতের রাজনীতিক অঙ্গন সরগরম

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৩

‘রাজাকার’ ইস্যুতে ভারতের রাজনীতিক অঙ্গন সরগরম

(বাঁ থেকে) কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গে, কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। ছবি: সংগৃহীত

‘রাজাকার’ ইস্যুতে এবার ভারতের রাজনীতিতে চলছে লঙ্কাকাণ্ড। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ ও কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে এ নিয়ে বিরোধ চলছে। এবার এতে যোগ দিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গেও।

জানা যায়, মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আদিত্যনাথ সাবেক হায়দরাবাদ রাজ্যের রাজাকার মিলিশিয়ার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর আক্রমণ করেন।  

গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, খাড়গে নিজের মা ও বোনের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলেন না, কারণ তারা রাজাকারদের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিলেন। যোগী আদিত্যনাথের মতে, খাড়গে মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন না।

যোগীর এমন আক্রমণের পর কংগ্রেস প্রধানের ছেলে কংগ্রেস নেতা প্রিয়ঙ্ক খাড়গেও ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি বলেন, তার বাবা কখনো রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি ব্যবহার করেননি এবং কখনোই ভিকটিম কার্ড খেলার চেষ্টা করেননি।  

প্রিয়ঙ্ক খাড়গে আরও বলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে সবসময় তার মর্যাদা বজায় রেখে রাজনীতি করেছেন এবং কখনোই ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেননি।

কর্ণাটকের মন্ত্রী বলেন, খাড়গে পরিবার রাজাকারদের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, পুরো মুসলিম সম্প্রদায় তো তা করেনি। প্রতিটি সম্প্রদায়েই কিছু খারাপ মানুষ থাকে, যারা ভুল কাজ করে। কিছু মানুষের দোষে পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা উচিত নয়।

প্রিয়ঙ্ক বলেন, ৮২ বছর বয়সী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অবিচলিতভাবে বুদ্ধ, বাসবন্না এবং আম্বেদকরের মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য এবং সংবিধান রক্ষার জন্য অবিরাম লড়াই করছেন। তার মতে, খাড়গে সাহসিকতার সঙ্গে দেশ ও জনগণের জন্য এসব রক্ষা করছেন।

এর আগে, মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপি নেতার ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে (বিভাজন মানে ধ্বংস)’ মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫