১৫টি শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ১৭:৩৩

পাকিস্তান ভারতের উত্তর ও পশ্চিম অংশের ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে ভারত। এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি।
এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করে। জবাবে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও সিস্টেমগুলোকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে লাহোরের আকাশ প্রতিরবক্ষাও ছিল। পাকিস্তান শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং আরও কিছু স্থানে ভারতের সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টা করেছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দর এলাকায় ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীও।
ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল, যেগুলো ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ধ্বংস করতে ইসরায়েলে তৈরি হারপ ড্রোন ব্যবহার করেছে। পরে ভারতের রাশিয়া-নির্মিত এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তানের পাঠানো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নামানো হয়েছে। ধ্বংস হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে যুক্ত হবে।
ভারত দাবি করে আসছে, পাকিস্তান অথবা তাদের ডিপস্টেট আর্থিক সহায়তা বা সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়।
রাষ্ট্রীয় গণ্ডির বাইরে প্রভাবশালী কোনো মহলকে বোঝাতে ডিপস্টেট শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তান জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে ভারত। তবে পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে বিরোধের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। পাকিস্তানও জবাব হিসেবে সিমলা চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনা বুধবার সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়।
পাকিস্তানে ভারতের সামরিক আগ্রাসনের নাম দেওয়া হয়েছে- অপারেশ সিঁদুর।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে ১০০-এর বেশি ‘সন্ত্রাসবাদী’কে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের হামলায় ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৭ জন।
ভারত বলছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ১৫ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছে।