
ছবি: গুগল
ভারতের সংবিধানে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দুইমাসেরও বেশি সময় পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো ভূ-স্বর্গের দরজা।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের ৬৪ দিন পরে বৃহস্পতিবার পর্যটকদের জন্যে বিধিনিষেধ তোলা হল। গত সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক করে পর্যটকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল সিংহ। এদিন সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর হল।
প্রশাসনের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের সিদ্ধান্ত জানানোর আগে আগস্ট মাসের শুরুতে পর্যটকদের উপত্যকা খালি করে দিতে বলা হয়। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল সেই সময়। স্থগিত হয় এ বছরের অমরনাথ যাত্রা। এরপরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্র। উপত্যকায় বাতিল হয় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। গ্রেপ্তার করা হয় চার শতাধিক রাজনৈতিক নেতা।
এই পরিস্থিতির কারণেই জম্মু-কাশ্মীর গত দুই মাসের বেশি সময় পর্যটক শূন্য। সরকারি সূত্রেই খবর, প্রথম সাত মাসে উপত্যকায় পাঁচ লাখের বেশি পর্যটক এসেছিলে। অমরনাথ যাত্রা স্থগিত হওয়ার আগেই এসেছিল তিন লাখ ৪০ হাজার তীর্থযাত্রী। কিন্তু হঠাৎ করেই পর্যটকের আনাগোনা নিষিদ্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন উপত্যকার ব্যবসায়ীরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবারই চেষ্টা করেছে কাশ্মীরের স্বাভাবিক চিত্র তুলে ধরতে। ধাপে ধাপে উঠেছে নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি ব্লক উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচনের কথাও জানানো হয়েছে। গত সোমবার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেখানেই ঠিক হয়, বিশেষ মর্যাদা লোপের ঠিক আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের রাজ্য ছাড়ার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
বুধবার উপত্যকার বেশ কিছু স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্কুল কলেজের বাইরে সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। অন্য দিকে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি নেতা মুক্তি পেতে পারেন বলে খবর। ‘সুব্যবহারের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্ড সই করলে তাদের করা হবে। -আনন্দবাজার পত্রিকা