Logo
×

Follow Us

দক্ষিণ এশিয়া

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ভারত বন্‌ধ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫৬

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ভারত বন্‌ধ

কৃষকরা দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ছবি : টুইটার

ভারতে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন পাশের এক বছর পূর্তি হলো। এই আইনের বিরোধিতা করে আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে ৪০টি কৃষক সংগঠনের সংযুক্ত মোর্চা (এসকেএম)। 

এই বনধকে সমর্থন করেছে বাম, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, টিডিপির মতো বিরোধী দলগুলো। কৃষি আইনের বিরোধিতায় জাতীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় বনধ পালন করছেন কৃষকরা। প্রভাব পড়েছে কলকাতা থেকে জেলাতেও।

আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত বনধ চলবে। কৃষকরা ইতিমধ্যেই গাজিপুরে দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। দিল্লি-মিরাট হাইওয়েতেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। মানেসরের কাছে তারা দিল্লি-হরিয়ানা সড়কও বন্ধ করেছেন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমানাও তারা বন্ধ করে দিয়েছেন। 

নিরাপত্তার কথা ভেবে লালকেল্লার সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এই বিক্ষোভের ফলে দিল্লি ও গুরুগ্রাম সীমানায় সকাল থেকেই ব্যাপক যানজট হয়েছে। কৃষকরা বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনের উপরেও বসে পড়েছেন। 

পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। অমৃতসরে প্রচুর কৃষক জড়ো হয়েছেন। তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। 

কৃষক নেতা শরণ সিং বলেছেন, দিল্লির সীমানায় কৃষক নেতারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সরকার তাদের কথা শুনছে না। তাই তারা ভারত বনধ ডাকতে বাধ্য হয়েছেন। 

কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানান, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের কোনও অসুবিধা করা হচ্ছে না। আমরা কেবল দোকানদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছতে চাই যে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখুন।

অন্ধ্রপ্রদেশে বন্‌ধ পালন করছে বাম দলগুলো। কেরালাতেও একই ছবি। তিরুবন্তপুরমে একসঙ্গে বনধ পালন করছে শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ।

ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তাই কৃষকদের উচিত এই ধরনের আন্দোলন থেকে বিরত থাকা এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা।

তবে কৃষক নেতারা এর আগে বলেছেন, সরকার তাদের মূল দাবি মানতে রাজি নয়। সরকার কিছুতেই তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করবে না। তাই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো লাভ হচ্ছে না। সরকার তাদের মূল দাবি মানতে না চাইলে আলোচনায় বসে কোনো লাভ নেই।

এদিকে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তো আগামী বছরের গোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই কৃষকরাও এখন আবার আন্দোলন জোরদার করে সরকারের উপর বাড়তি চাপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভরত কৃষকদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। -ডয়চে ভেলে ও জি নিউজ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫