সিএএ’তে কেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করছি না?
প্রশ্ন নেতাজির নাতি ও বিজেপি নেতার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৯

চন্দ্রকুমার বসু
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও এনআরসির সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিশাল মিছিল করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি জে পি নাড্ডা।
তবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার উল্টো পথে হাঁটলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতির নাতি বিজেপি নেতা চন্দ্রকুমার বসুও। পর পর টুইটে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন চন্দ্রকুমার।
নাড্ডার সভা করার পরেই চন্দ্র বসুর এই টুইট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
টুইটারে চন্দ্রকুমার বসু লিখেছেন, সিএএ-২০১৯ যদি কোনোও ধর্মের জন্য না হয়, তাহলে কেন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান জৈন ও পার্সিদের কথা উল্লেখ করছি! কেন মুসলিমদেরও অন্তর্ভুক্ত করছি না? আসুন স্বচ্ছ হই।
নিজের এই অবস্থানের পক্ষে অন্য টুইটে তার যুক্তি, মুসলিমরা যদি নিজেদের দেশে অত্যাচারিত না হন, তাহলে তারা এ দেশে আসতেন না। তাই তাদের অন্তর্ভুক্ত করায় কোনো ক্ষতি নেই। তাছাড়া এই ধারণা পুরোপুরি সত্যিও নয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী বালুচ মুসলিম বা পাকিস্তানের আহমদিয়া মুসলিমদের কী অবস্থা?
বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি জৈন সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইনে। পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রায় গোটা দেশ।
তার মধ্যে আবার পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম শুরু হয় আন্দোলন। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকসহ অনেক রাজ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এ রাজ্যে এখনো প্রায় প্রতিদিনই সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে মিছিল করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার শ্যামবাজারে সভা করেন নাড্ডা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা চন্দ্রকুমার বসুর এই অবস্থানে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। -আনন্দবাজার পত্রিকা