বহু নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটগ্রহণে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ঐতিহাসিক অধিবেশন শুরু হয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। তবে অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পরে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। 

তবে মুলতবির আগ পর্যন্ত অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান খান। এ অধিবেশনের মধ্যেই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্বের ভাগ্য।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার আসাদ কায়সার। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। এরপর জাতীয় সংগীত ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।  দিবসের কার্যসূচিতে চার নম্বরে আছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। অধিবেশনে বিরোধী দলগুলোর সব আইনপ্রণেতা অংশ নিয়েছেন। তবে শুরুতে সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে কয়েকজনকে অধিবেশনে দেখা যায়।

অনাস্থা ভোট খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করলে দেশটির অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসাতে হবে। আস্থা ভোটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না। পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অধিবেশন ডাকার আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় তিনি মেনে নিয়েছেন, তবে তাকে উৎখাত করে কোনো ‘আমদানি করা’ সরকার বসানোর চেষ্টা তিনি মেনে নেবেন না। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে তিনি জনগণের শরণাপন্ন হবেন। 

গত ৩ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি বিষয়টিকে সুয়ো মোটো হিসেবে গ্রহণ করেন।

পাকিস্তানের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে বলেছিলেন, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিরোধী জোট সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।