ইমরান খান। (ফাইল ছবি)
ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতি ইস্যুতে পাকিস্তানের রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। ইতোমধ্যে মসজিদে নববীতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও সফরসঙ্গীদের সাথে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেয়ার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে।
সরকার সেজন্য ইমরান খানসহ অন্তত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করার দাবিও তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
ইমরান খান বলেছেন, মসজিদে নববীতে যা ঘটেছে, তা জনপ্রতিক্রিয়া। নেতারা যার যোগ্য তাই তারা পেয়েছেন।
তবে ইমরানকে গ্রেপ্তার করলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো ঘোলা হবে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। এদিকে ইমরান খান ইসলামাবাদমুখী লংমার্চের ঘোষণা করেছেন। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৩ মে) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ইমরান খানের ওই লংমার্চে রক্তপাত হতে পারে। এতে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
এর একদিন আগে গত সোমবার (২ মে) তিনি দাবি করেন, ক্ষমতাসীন পিএমএলএনের নেতারা ইমরান খানকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। লংমার্চেই তার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করছে সরকার।
শেখ রশিদ আরো বলেন, ইমরান খানের জীবন ঝুঁকিতে। কারণ, শরীফ পরিবার এবং পিএমএলএনের অন্য নেতারা তার হাত থেকে মুক্তি পেতে চান।
বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে উদ্দেশ্য করে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাওয়ালপিন্ডিতে শেখ রশিদ বলেন, যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন মাদকের ডিলার, সেখানে শান্তি আসতে পারে না। যদি রাজপথে সহিংসতা হয় তার জন্য দায়ী থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
লংমার্চে তিনি ইমরান খানের পাশে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন শেখ রশিদ।