কেজরিওয়ালের আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও যেসব মুখ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

ঝাড়খণ্ডের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, মধু কোড়া ও শিবু সোরেন। ছবি- সংগৃহীত
আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে আর্থিক বিষয়াদি তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই তালিকায় সবশেষ যোগ হলো কেজরিওয়ালের নাম। জমি জালিয়াতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করে ইডি।৬০০ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ হেমন্তের বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেন হেমন্ত।
তার ইস্তফা দেয়ার পর নিমেষে বদলে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পটভূমি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা চম্পাই সোরেনকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। এরপর রাঁচীর রাজভবনের দরবার হলে ঝাড়খণ্ডের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন চম্পাই।
ঝাড়খণ্ডেই দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া। অবশ্য এর দেড় বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন তিনি। ঘুষ নিয়ে কয়েকটি সংস্থাকে নিয়ম ভেঙে কয়লা খনির প্রকল্প পাইয়ে দেয়া এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের নভেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সেই মামলায় ২০১৭ সালে সাজাও হয় তার।
দুর্নীতি ও খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হন ঝাড়খণ্ডের আরেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হলেন হেমন্ত সোরেনের বাবা ও জেএমএমের প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানোর কয়েক মাস পর ২০০৬-এর নভেম্বরে একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন শিবু। তিনি তখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী। ইস্তফা দিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল তাকে।