সংবিধান ভঙ্গের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) দেশটির একটি আদালত রায় দিয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না থাভিসিন। খবর বিবিসির।
গণমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে বলছে, গত সপ্তাহে একই আদালত দেশটির জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে নিষিদ্ধ করেছে। দলটি গেল সংসদ নির্বাচনেও সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছিল। আদালতের ওই রায়ে দলটির নেতাদের রাজনীতি থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধও করা হয়।
বুধবার ব্যাংককের আদালত তার রায়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন কারাভোগ করা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন। আদালতের নয় বিচারকের পাঁচজনই স্রেথা থাভিসিনকে সরিয়ে দেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জেনেশুনে একজন নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
আইন অনুযায়ী দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। ক্ষমতাসীন ফিউ থাইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নতুন প্রার্থী দেবে বলে জানা যাচ্ছে। ওই প্রার্থী সংসদের ৫০০ সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা থাভিসিন। তখন ফিউ থাই পার্টিকে সেনাবাহিনীর মনোনিত প্রার্থীদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে হয়েছিল। স্রেথার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আদালত বুধবার এই রায় দিলো, আদালতে সেই অভিযোগটি করেছিলেন সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত ৪০ জন সিনেটর।
পিচিট চুয়েনবান নামের যে আইনজীবীকে সরকারে নিয়োগ দিয়েছিল, তিনি ২০০৮ সালে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডও দেয়া হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh