রাখাইনে অনাহারের ঝুঁকিতে ২০ লাখ মানুষ

মিয়ানমারের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাখাইন রাজ্যে শিগগিরই দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যটিতে ২০ লাখের বেশি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে থাকতে পারে।

জাতিসংঘ বলছে, বীজ ও সার সংকট, চরম আবহাওয়া, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় রাখাইনে চাল উৎপাদন কমে গেছে।

রেডক্রসসহ ত্রাণ সংস্থাগুলো মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কড়াকড়ির কারণে সেখানকার মানবিক চাহিদা এবং ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টি মূল্যায়নে মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ইউএনডিপি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘রাখাইন নজিরবিহীন বিপর্যয়ে পড়ার মুখে রয়েছে।’ তাছাড়া, অভ্যন্তরীন ও বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণই স্থবির হয়ে পড়ায় ২০ লাখের বেশি মানুষ অনাহারে থাকার ঝুঁকি রয়েছে।

রাখাইনে গত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এবছর অগাস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যাও বেড়ে ৬০ শতাংশের বেশিতে দাঁড়িয়েছে। পাঁচ লাখের বেশি মানুষ এখন পুরোপুরি সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে ইউএনডিপি।

২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে।

বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। দেশটিতে এখন মানবিক ত্রাণ সাহায্য জরুরি হয়ে উঠেছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh