Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

ছয় ইস্যুতে বিতর্কিত বিপিএল

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:০০

ছয় ইস্যুতে বিতর্কিত বিপিএল

চলতি আসরের ট্রপি উন্মোচন অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) নবম আসর। বরাবরের মতো এবারও নেই কোনো চমক। বরং শুরুতেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। তবে এটাও সত্য- যারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন এবং খোঁজখবর রাখেন তাদের দৃষ্টিতে বিপিএল ‘দায়সারা গোছে চলে’।

চলতি বিপিএলে দেখা গেছে- ফটোশুটে ক্রিকেটাররা এসেছেন জিন্স পরে, দলের ট্রাউজারও দেয়া হয়নি। ক্রিকেটে বিশেষত পেশাদার ক্রিকেটে এমন দৃশ্য বিরল; কিন্তু গত দশ-এগারো বছর ধরেই এমন সব ঘটনার জন্ম দিয়েছে যা আসলে টুর্নামেন্টটিকে ‘হাসির খোরাক’ করে তুলেছে। আসুন জেনে নিই বিপিএলকে ঘিরে যত বিতর্ক রয়েছে এমন ৬ ঘটনা।

পাওনা টাকা দিতে দেরি করা
২০১২ সালে ইংল্যান্ডের ১৩ ক্রিকেটার টাকা না পাওয়ার বিষয়টি ব্রিটেনের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানেও এসেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ক্রিকেটারদের যে অঙ্কের অর্থ দেয়ার কথা ছিল, কেউই তার পুরোটা পরিশোধ করেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, দলগুলোর মালিকদের সাথে একের পর এক আলোচনা করে এই দায় মিটিয়েছে ২০১৫ সালে।

শুধু ইংল্যান্ডেরই নয় প্রায় আড়াই বছর পর ২০১৫ সালেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের পাওনাও মিটিয়েছিল বিসিবি। ‘গ্যারান্টার’ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টাকা দিয়েছিল।

স্পট ফিক্সিং
২০১৩ সালে ঘটেছিল বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। যার এক বছর পর ২০১৪ সালে ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মোহাম্মদ আশরাফুলের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে তখন মোহাম্মদ আশরাফুল বলেছিলেন, ২০০৪ সালে থেকেই তিনি ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত।

আম্পায়ারিং
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের সাথে আম্পায়ারের কথা কাটাকাটি পরিচিত এক দৃশ্য হয়ে উঠেছে। চলতি বিপিএলেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এটা কেবল সাকিবের সাথেই নয়, অনেক ক্রিকেটারের কাছেই আম্পায়ারিং মানসম্মত হয় না। চলতি বিপিএলেও ফরচুন বরিশালের ম্যাচেই মাঠেই সাকিবকে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে আম্পায়ারের প্রতি। রেজাউর রাজার একটি বল সাকিবের মাথার ওপর দিয়ে গেলে লেগ আম্পায়ার ওয়াইডের কল দেননি। কিন্তু বলটি নিশ্চিতভাবে ওয়াইড ছিল। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের ম্যাচের ঠিক আগেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন তামিম ইকবালও। সেই ম্যাচে সৌম্যকে আউট দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে যে নাটক হয়েছে, সেই বিষয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করেন তামিম। এই সময় আক্ষেপের সুরেই তামিম বলেন, ‘এমন হলে আমরা কই যাব?’

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম
বিপিএলে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম নেই, এবারও প্লে অফের আগ পর্যন্ত বিসিবি অলটারনেটিভ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম দিয়ে কাজ চালাবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যখন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ডিআরএস কেন ব্যবস্থা করেনি তারা? তখন তারা জানিয়েছিল, সীমাবদ্ধতার কথা। সেই সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে অ্যাডিশনাল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম নিয়ে আসছে তারা।

এমন সিস্টেমই নিয়ে এসেছে বিপিএলের আয়োজক কমিটি, যা সমাধানের চেয়েও সংশয় বাড়িয়েছে বেশি। ঢাকা ডমিনেটর্স এবং খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচে যে চিত্র দেখা গেছে। যেখানে মাঠের আম্পায়ার গাজী সোহেল সৌম্যকে এলবি আউট দেন।

মাত্র তিন ভেন্যুতে খেলা
আরেকটি বড় দুর্বলতার জায়গা দলগুলোর ভেন্যু না থাকা। এই টুর্নামেন্টের খেলা মাঠে গড়ায় কেবল, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে। ঢাকার মিরপুরেই হয়েছে সিংহভাগ ম্যাচ। একে তো সুনির্দিষ্ট মালিকানা নেই, সেই সাথে বাংলাদেশের বিভাগীয় স্টেডিয়াম থাকলেও সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালানো কঠিন বলে মনে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে যেসব বিষয়ে ঠিক করার কথা বলেছেন তার মধ্যে একটি ছিল এই, ‘হোম-অ্যাওয়ে ভেন্যু।’

আচমকা খেলার সময়সূচি এগিয়ে আনা
সম্ভবত বিপিএলের বিতর্কের মধ্যে ওপরের দিকে থাকবে এটি। বিপিএল মাঠে গড়ার বেশি আগে থেকে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সকলে জানতো, টুর্নামেন্টের খেলা প্রতিদিন শুরু হবে দুপুর ২টা এবং সন্ধ্যা ৭টায়। ব্যতিক্রম কেবল শুক্রবারে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে খেলা শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এবং সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে।

বিপিএলের এই সময়সূচি আচমকাই বদলে দিয়েছে আয়োজক কমিটি। সময়সূচি বদলানো সমস্যা নয়। তবে কারণ ব্যাখ্যা না করা এবং খেলা শুরু হওয়ার মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে আচমকা সময় বদলে দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

যদিও বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেই সত্যতা পাওয়া যায়নি বিপিএলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫