
ইউরোপিয়ান সুপার লিগে নামজাদা ক্লাবগুলো খেলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
৮০টি দল নিয়ে নয়া রূপে ফিরে আসছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ। লিগের প্রত্যেক মৌসুমে প্রতিটি দল কমপক্ষে ১৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়া থাকবে না লিগের কোনো স্থায়ী সদস্য। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দলগুলোকে জায়গা করে নিতে হবে। সুপার লিগের ‘এ টোয়েন্টি টু’র এই প্রজেক্টকে সেলফিশ প্রজেক্ট বলে আখ্যা দিয়েছেন লা লিগাসহ শীর্ষ লিগের বেশ কিছু কর্তা।
টোয়েন্টি টু-র ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী বেরন্ড রাইচার্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইউরোপিয়ান ফুটবলে এ ধরণের পরিবর্তন অতীব প্রয়োজন। এবারের সুপার লিগে কোনো স্থায়ী সদস্য থাকবে না, প্রতিযোগিতাটি হবে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। প্রতি মৌসুমে প্রতিটি ক্লাবের অন্তত ১৪টি করে ইউরোপিয়ান ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিলে হঠাৎ সুপার লিগের ঘোষণা দিয়েছিল ইউরোপের ১২টি ক্লাব। তবে সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল সংস্থাগুলোর প্রবল চাপ এবং সাবেক ও বর্তমান ফুটবলারদের তীব্র সমালোচনার মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভেস্তে যায় তাদের সব পরিকল্পনা।
সুপার লিগ খেলতে তখন সম্মতি জানায় ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল, এসি মিলান, ইন্টার মিলান, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও বার্সেলোনা। তবে সমালোচনার মুখে ৪৮ ঘণ্টা পরই সরে দাঁড়ায় নয়টি ক্লাব।