
শেখ কামাল দ্বিতীয় জাতীয় যুব গেমস। ছবি: সংগৃহীত
চার হাজার অ্যাথলেট নিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ কামাল দ্বিতীয় জাতীয় যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে। আর্মি স্টেডিয়ামে গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত আসরটির সমাপ্তি ৪ মার্চ। চূড়ান্ত পর্বে ২৪ ডিসিপ্লিনে ১৯৩টি স্বর্ণ ও রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ থাকবে ২৮৭টি। সব ইভেন্টের ভেন্যুই ঢাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে মশাল প্রজ্বালন করবেন বিওএ সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে আর্মি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মশাল প্রজ্বালন করবেন সবে শেষ হওয়া এশিয়া ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণজয়ী ইমরানুর রহমান ও কারাতে এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী মারজান আক্তার প্রিয়া।
গেমসের চূড়ান্ত পর্ব উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সবিস্তারে সবকিছুর ব্যাখ্যা করেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
শেখ কামাল যুব গেমসের প্রথম আসর বসে ২০১৮ সালে। দেশব্যাপী অনূর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সীদের নিয়ে আয়োজিত প্রথম আসরে প্রতিযোগী ছিল ৫০ হাজার। মোট ২১ ডিসিপ্লিনে অংশ নেন অ্যাথলেটরা। এবারে প্রতিযোগী ও ডিসিপ্লিন দুই-ই বেড়েছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ২৪ ডিসিপ্লিনে অংশ নেন ৬০ হাজার অ্যাথলেট। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠে এসেছেন চার হাজার অ্যাথলেট।
এবারের গেমসেও বিকেএসপির (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) অ্যাথলেটরা অংশ নেবেন তাদের জেলার হয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন গেমস আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
গেমসের চূড়ান্ত পর্বে খেলোয়াড়দের খাবারের জন্য জনপ্রতি দৈনিক ৬০০ টাকা, আবাসন ৬০০ ও এককালীন যাতায়াত ১৬০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিওএ সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ জানালেন এমনটা।
বলেন, ‘এক হাজার করে দিতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগত। সবকিছু বিচার-বিবেচনা ও ফেডারেশনগুলোর মতামত নিয়ে আমরা এটি নির্ধারণ করেছি।’
গেমসের চূড়ান্ত পর্ব উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বর্ণনা করেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।