
ছবি: সংগৃহীত
পঙ্গু, মূক, বধির, অন্ধ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরাও যে একটি দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে পারে, তার প্রমাণ স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমস শুরু হওয়ার পর বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়ছে। ১৯৯৪ সালে স্পেশাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হওয়ার পর ১৯৯৫ সাল থেকে স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমসে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। জার্মানির বার্লিনে ৯ দিনব্যাপী চলে ২০২৩ সালের স্পেশাল অলিম্পিক আসর।
১৭ জুন শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫ জুন। এবার বাংলাদেশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ মিলিয়ে মোট ৩৩টি পদক পেয়েছে। অভ‚তপূর্ব নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ৮টি ডিসিপ্লিনে ২৪টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন খেলোয়াড়রা।
মহিলা ফুটবল, মহিলা হ্যান্ডবল ও ইউনিফায়েড ভলিবলে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। অ্যাথলেটিক্সে ৬টি স্বর্ণ ও ৩টি রৌপ্য, ব্যাডমিন্টনে ৫টি স্বর্ণ, বোচীতে ৬টি স্বর্ণ, সাতারে ৪টি স্বর্ণ ও ৩টি ব্রোঞ্জ, মহিলা বাস্কেটবল ও পুরুষ হ্যান্ডবলে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়া দল।
নুরুল আলমের নেতৃত্বে ১১৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল বার্লিন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে। দলে ছিলেন ৭৯ জন খেলোয়াড়, ৩০ জন কোচ ও সহকারী কোচ, ২ জন ডাক্তার এবং ২ জন সহকারী দলনেতা। খেলোয়াড়ের মধ্যে নারী খেলোয়াড় ছিলেন ৪৬ জন এবং পুরুষ খেলোয়াড় ৩৩ জন। বার্লিন আসরের সাফল্যে উচ্ছ¡সিত স্পেশাল অলিম্পিক কমিটির ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফারুকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গতবারের (২০১৯) চেয়ে এবার পদক বেশি এসেছে, তাই আমরা ভীষণ খুশি। অবশ্য এর কারণও আছে। গতবারের চেয়ে এবার বাংলাদেশের বেশি অ্যাথলেট অংশ নিয়েছে এবং অনুশীলন ছিল বেশ ভালো ও কার্যকর। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।’ এর আগের বার ২০১৯ আবুধাবিতে অর্জন ২২টি সোনা, ১০টি রৌপ্য ও ৬টি ব্রোঞ্জ পদক।
স্পেশাল অলিম্পিকে বাংলাদেশ একটা ভালো অবস্থানে রয়েছে। যেখানে মূল অলিম্পিকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি ব্রোঞ্জ পদকও লাভ করতে পারেনি। যদিও মূল অলিম্পিক আর স্পেশাল অলিম্পিকের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তার পরও স্পেশাল অলিম্পিকের সাফল্য থেকে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা মূল অলিম্পিকে প্রেরণা পেতে পারেন।