Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

এশিয়া কাপই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ

Icon

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১২:৫১

এশিয়া কাপই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ এক দশক ধরে সমীহ করা দলে পরিণত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা গেছে দলের মধ্যে। কিন্তু বিষয়টি ক্রিকেটার বা টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ স্বীকার করেননি। আবার তামিম ইকবাল ইস্যুতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সেটা কিছুটা হলেও কেটে গেছে। এদিকে ভারতের মাটিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে কোনো ঘাটতি রাখতে চাইছেন না বোর্ড কর্মকর্তারা। আফগানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি যথাযথ হয়নি; এশিয়া কাপে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেবে বাংলাদেশ। এবার অনেকটা তারুণ্যনির্ভর দল নিয়েই বিশ্বসেরা আসরে খেলতে যাবে লাল-সবুজের দল। লক্ষ্যটা তাই আগেভাগেই পরিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা। 

যদিও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিবেচনায় ওপেনিং ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর দলে থাকাটা একপ্রকার নিশ্চিতই। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে এই বাঁহাতি দলে একটা জায়গা করে নিয়েছেন। তার কিছু ইনিংসে চোখ ধাঁধানো শট ভক্তকুলের চিত্তকে প্রশান্তি দিলেও ধারাবাহিকতায় বড় বেশি অভাব রয়েছে। নিজেকে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় হিসেবে এখনো প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। তাই এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কার ব্যাটে ভরসা রাখবে বাংলাদেশ- লিটন, তামিম, মুশফিক নাকি সাকিব? আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে তাদের যে ধারাবাহিকতা, তা হতাশাজনকই। শেষ ম্যাচে এসে লিটন, সাকিব ও হৃদয় কিছুটা আশা ছড়ালেও স্বস্তি নেই। এর মধ্যে কাপ্তান লিটন দ্বিতীয় ম্যাচে কেমন যেন দোলাচলে ছিলেন। স্টাম্পগার্ড রেখে না উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে মেরে খেলার কুফল পেয়েছে দল। কখনো ব্যাকফুটে খেলে স্থির না থাকার খেসারত দিতে হয়েছে। 

তামিম তো প্রথম ম্যাচের পর থেকে নেই দলের সঙ্গে। তার বদলি হিসেবে মোহাম্মদ নাঈমকে নেওয়া হলেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তার এই ব্যর্থতা অব্যাহত রয়েছে শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং এশিয়া কাপেও। সিনিয়র হিসেবে মুশফিকুর রহিম কিছুটা আশা জাগালেও সেটি বিশ্বকাপ পর্যায়ে ভালো খেলার দাবি রাখার পক্ষে যথেষ্ট নয়। আর সাকিবের চোখ তো সর্বদা বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডে থাকে। 

ব্যাটিংয়ের পর বিশ্বকাপে কার বোলিং প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়াবে, সেই তালিকায়ও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। তাসকিন, এবাদত, মোস্তাফিজ নাকি হাসান মাহমুদ? এর মধ্যে তাসকিন তার সেরা ছন্দে থাকলে বিশ্বক্রিকেট তার গতি আর বোলিংয়ে সাফল্য দেখবে। এবাদত কী করবে সেটি বলার সুযোগ নেই। মোস্তাফিজের কাটারে এখন আর রহস্য নেই। তাকে মোকাবিলা করে রান তোলা এখন যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য সহজ হয়ে গেছে। হাসানকে নিয়ে বাজি ধরার সময় অবশ্য এখনো আসেনি। 

দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের দুই ওপেনার যেভাবে ৩৬ ওভার পর্যন্ত বোলারদের নানাভাবে পরীক্ষা নিয়েছেন তাতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন না আনলে আক্ষেপেই করতে হতে পারে বাংলাদেশকে। সে হিসেবে অলরাউন্ডার সাকিব আর পেস বোলার তাসকিনই ভরসার নাম, তারা খারাপ করলে প্রভাব পড়বে দলের ফলাফলে।

ঘরের মাঠে সর্বশেষ আটটি সিরিজ জেতা বাংলাদেশ দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেই হারিয়ে ফেলায় মূলত আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা গেছে। অধিনায়ক হিসেবে তামিম অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন। মাঠে দলকে পরিচালনায় কোনো সমস্যা না থাকলেও ব্যাট হাতে ঠিকই রয়েছে। তাকে নিয়ে সমালোচনার মূল কারণ ছিল ব্যাডপ্যাচে থাকা। এছাড়া কোমরের ইনজুরি অনেকটা স্থায়ী হওয়ায় আশার প্রদীপটা নিবুনিবু করছে। তবে ফিট তামিমকে বাংলাদেশ পেলে দলের টপ অর্ডারে রান নিশ্চিত হবে। ‘অবসর’ নিয়ে অস্বস্তির পর তামিমও চাইবেন বিশ্বকাপে সেরাটা মেলে ধরতে। শেষ বিশ্বকাপ বলে সাকিবও সেরাটা নিংড়ে দেবেন বলেই প্রত্যাশা। ভারতের কন্ডিশন অনেকটা নিজেদের মতো হওয়ায় প্রত্যাশাটা বাড়ছে। সেখানে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকলে দলের সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। এসব পেছনে ফেলে সেরা সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরতে চায় বাংলাদেশ দল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫