
ইমার্জিং এশিয়া কাপে পাকিস্তান ‘এ’ দল। ছবি: সংগৃহীত
ইমার্জিং এশিয়া কাপে বড় স্কোর গড়েছিল পাকিস্তান ‘এ’ দল, আর তার পেছনে ছুঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে ভারত ‘এ’ দল।
আজ রবিবার (২৩ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের লড়াইয়ে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতলো দলটি।
শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান। ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৫২ রানের বিশাল সংগ্রহ। দলটির দুই ওপেনার ফিফটি করে ফিরে যান।
সিয়াম আইয়ূব খেলেন ৫১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। সাতটি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন তিনি। সাহিবজাদা ফারহান ৬২ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৫ রান করেন।
তিনে নামা ওমার ইউসূফও রান পেয়েছেন। তিনি ৩৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। সেরা ব্যাটিংটা করেছেন চারে নামা পাকিস্তানের ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার তাইয়িব তাহির। তিনি ৭১ বলে ১০৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১২টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজান ওই ইনিংস।
জবাব দিতে নামা ভারতের শুরু খারাপ হয়নি। ওপেনিং জুটিতে ৬৪ রান যোগ করে তারা। সুদর্শন ২৯ রান করে ফিরে যান। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৪০ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। দলটির হয়ে ওপেনার অভিষেক শর্মা সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া ইয়াশ ধুল ৩৯ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে আরশাদ ইকবাল, মেহরান মুমতাজ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সুফিয়ান মুকিম নিয়েছেন তিন উইকেট। এর আগে ভারতের হয়ে হাঙ্গারগেকার ও রায়ান প্রাগ দুটি করে উইকেট নেন।
শুরুটা মন্দ হয়নি ভারতের। নবম ওভারেই ষাট ছাড়িয়ে যায় ওপেনিং জুটি, তারপরই ভেঙে যায়। অভিষেক শর্মার সঙ্গে ৬৪ রান স্কোরবোর্ডে তুলে সাই সুদর্শন (২৯) থামেন।
নিকিন জোস (১১) ওই ধাক্কা সামলাতে পারেননি। ৮০ রানে ২ উইকেট হারানো ভারত প্রতিরোধ গড়ে ওপেনার অভিষেক ও অধিনায়ক যশ ধুলের ব্যাটে। দুজন মিলে ৫২ রানের বেশি করতে পারেননি।
অভিষেক ৫১ বলে ৬১ রানে থামেন। ভারতের ব্যাটিংয়ের বিপর্যয় তার বিদায়ের পর শুরু। ৩ উইকেটে ১৫৭ রান করা দলটি দুইশতে পৌঁছানোর আগেই তাদের ৮ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে। ধুল বিদায় নেন ৩৯ রান করে।
পাকিস্তানের জয় তখন সময়ের ব্যাপার, ৪০তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিম ভারতকে গুটিয়ে দেন ২২৪ রানে। ফলে ১২৮ রানে বিশাল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, ইমার্জিং এশিয়া কাপে ২০১৯ সালের আসরে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখন তারাও যৌথভাবে সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন।