
রোমান সানা। ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে হতাশার বৃত্তে বন্দি ছিল বাংলাদেশ দল। সেখানে সবাই একটি নামের কথা বলেছেন, সেটি রোমান সানা। তার অনুপস্থিতিতে আরেকটি টুর্নামেন্ট খেললেও সফলতা আসেনি। শৃঙ্খলাভঙের দায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধ মওকুফ করা হয়। এখন আন্তর্জাতিক আর্চারি ফেডারেশন রোমানের বিষয়টি দেখভাল করছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও এখনো আন্তর্জাতিক আসরে খেলার সুযোগ পাননি রোমান।
৬ আগস্ট জার্মানির রাজধানী
বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের আসর শেষ হয়েছে। এর পরই সাত সদস্যের
জাতীয় আর্চারি দল চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এই দলে রাখা হয়নি রোমানকে।
জাতীয় দলের
সঙ্গে অনুশীলন করার দলে থাকলেও আসরটিতে রোমানের খেলার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। বিশ্ব
আর্চারি ফেডারেশনের দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছেন এই আর্চার। সেখান থেকে সুখবর এলেই তীর-ধনুক
হাতে লক্ষ্যভেদে নামতে পারবেন আনসারের এই তীরন্দাজ। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর এই
প্রথমবার আন্তর্জাতিক আসরে খেলার অপেক্ষায় ছিলেন রোমান ও দিয়া সিদ্দিকী। বিশ্বসেরা
আসর বলেই রোমানের ওপর ভরসা করে আসলেও সেটি পূরণ হয়নি কোচ আর কর্মকর্তাদের। আবারও স্বমূর্তিতে
ফিরতে চান ২০১৯ সালের বিশ্ব আর্চারিতে ব্রোঞ্জজয়ী রোমান বলেন, ‘এখন দেশে আর আমার নিষেধাজ্ঞা
সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। আন্তর্জাতিক আর্চারি ফেডারেশন থেকে ক্লিয়ারেন্স পেলেই আমি
তীর-ধনুক হাতে মাঠে নামতে পারব। সেটা পেলে আমি যে কোনো আসরে নিজের সেরাটা দিয়ে ভালো
কিছু করতে চাই।’
রোমানের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘রোমান সানার নিষেধাজ্ঞা মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক আর্চারি ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। আশা করছি রোমানের ক্লিয়ারেন্স দ্রুততম সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব।’ আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিক বাছাইপর্বের খেলা। আপাতত সেখানে রোমানকে পাঠানোর কথা ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে।