
নারী ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি। ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল রবিবার (২০ আগস্ট) নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড আর ইউরোপের আরেক পাওয়ার হাউজ স্পেন। এই ফাইনাল ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছে নতুন রেকর্ড পাতায়। অল ইউরোপীয় এই ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দুইটি দলই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে ৭৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটি পরিপূর্ণ থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির যে হার দেখা যাচ্ছে তাতে নারী ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শক সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার আসরে অংশ নিয়েছিলো ৩২টি দল। আগের আসরের তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এবারের আসরে বেশ কয়েকটি ফেভারিট দলকেই বিদায় নিতে হয়েছে আগেভাগেই।
গ্রুপ পর্ব থেকেই ব্রাজিলের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে জার্মানি, ইতালি ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডা। এরপর শেষ ষোল থেকে বিদায় নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রথম টুর্নামেন্ট থেকে এতো আগে বিদায় নিয়েছে মার্কিন নারীরা।
অপরদিকে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের শেষ ষেলোতে নাম লিখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, জ্যামাইকা ও মরক্কো। আর প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টে এসেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে কলম্বিয়া। ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে সেখান থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আমেরিকার ওই দলটি।
এর আগে অবশ্য আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) ৩য় স্থানের জন্য লড়বে টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক অস্ট্রেলিয়া এবং র্যাঙ্কিংয়ের ৩য় স্থানে থাকা সুইডেন।
রবিবারের ফাইনালে বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব ছাড়াও আছে বড় রকমের আর্থিক হিসেব। ফিফা আয়োজিত সব টুর্নামেন্টেই বিশেষ দৃষ্টি থাকে প্রাইজমানির দিকে। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারেও। ২০২৩ সালের এই নারী বিশ্বকাপে থাকছে মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার। যা আগের যেকোনো আসরের চেয়ে প্রায় তিন থেকে ছয়গুণ বেশি।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে সর্বমোট ১১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছে বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যা আগের ২০১৯ আসরের তুলনায় তিনগুণ এবং ২০১৫ আসরের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি।