Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

শেষ ওভারের রোমাঞ্চ ছাপিয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৫

শেষ ওভারের রোমাঞ্চ ছাপিয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পেলো পাকিস্তান। ছবি: সংগৃহীত

হাম্বানটোটায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ালেও কাঙ্ক্ষিত জয় পায়নি আফগানিস্তান। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১ উইকেটে হেরেছে তারা। এ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৬ ওয়ানডের সবকটিতেই হারলো আফগানরা। রোমাঞ্চকর এ জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো বাবর আজমের পাকিস্তান।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের ব্যাটিং যেন প্রথম ওয়ানডের ঠিক বিপরীত। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান শুরুটা করেছেন দেখেশুনে, সতর্কভাবে। উইকেট ধরে রেখে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তারা সংগ্রহ করে মাত্র ৪৮ রান। ২১ ওভারে রান ছিলো ৯১।

এরপর যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯.৫ ওভারে ২২৭ রান তোলে আফগানিস্তান। জুটি ভাঙে ১০১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানে ইব্রাহিমের আউটে। ৪৫তম ওভারে গুরবাজকেও হারায় আফগানিস্তান। আউট হওয়ার আগে ১৫১ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৫১ রান করেছেন তিনি।

আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। গত বছর ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইব্রাহিম জাদরানের ১৬২ রানের ইনিংসটি ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

ইব্রাহিম ও গুরবাজের পর আর কেউ খুব বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারলেও ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০০ রান তুলে আফগানরা। ওয়ানডেতে এ নিয়ে সপ্তমবার ৩০০ বা তার বেশি রানের স্কোর গড়ল দেশটি। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ভারতের গ্রেটার নয়ডায় সেটা তারা করেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এবারই প্রথম ৩০০ রানের স্কোর করল আফগানিস্তান। এর আগে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান ছিলো ২৫৭ রান।

বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিলো ভালো। নবম ওভারে ৫২ রানে ফখর জামানের উইকেট হারালেও অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম–উল হক দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন লক্ষ্যের দিকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা তোলেন ১১৮ রান।

কিন্তু ৬৬ বলে ৬ চারে বাবর ৫৩ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন। ৪১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারালে জয়ের সম্ভাবনা কমতে হতে থাকে। কিন্তু ফিকে হয়ে যাওয়া সেই আশায় আবার আলো যোগান শাদাব খান। ম্যাচ শেষ ওভারে নিয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১১ রান। ৩৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

কিন্তু শাদাব ছিলেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে। শেষ ওভারের প্রথম বলেই তিনি প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফজলহক ফারুকি বল ছোড়ার আগেই বেরিয়ে যান ক্রিজ ছেড়ে। তাঁকে মানকাডিং করেন ফারুকি। 

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১১ রান তুলে নেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। এ ওভারে ফারুকিকে ২টি চার মারেন নাসিম। এর আগে এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টি শেষ ওভারে ফারুকিকে ২টি ছয় মেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন তিনি।  

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন ইমাম।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫