Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

বিশ্বকাপে ‘স্পিন’ দুর্বলতা কাটানোর মিশন

Icon

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪০

বিশ্বকাপে ‘স্পিন’ দুর্বলতা কাটানোর মিশন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফাইল ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় একদিনের বিশ্বকাপ নিয়ে তাই বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। যেহেতু ভারতে খেলা তাই স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলা হবে। এজন্য বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জন্য স্পিন বল খেলার শক্তি বাড়ানোর নানা কৌশল হাতে নিয়েছে। বিশ্বসেরা আসরের আগে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে এশিয়া কাপকে ধরা হচ্ছে, তাই অনুশীলন চলছে বেশ জোরেশোরে। 

অনুশীলনে চায়নাম্যান বোলার হিসেবে সানজিদকে দেখেই বোঝা যায় বিশ্বকাপ নিয়ে কতটা সিরিয়াস এবার। কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে লেগ স্পিনার খেলানো নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। সে কারণেই জোবায়ের হোসেন লিখন বড় একটা আক্ষেপের নাম হয়ে আছে। এরপর আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, রিশাদ হোসেনদের দিয়ে নামকাওয়াস্তে চেষ্টা চালিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মত, লেগ স্পিনার তৈরি হলেও তাদের খেলার মতো জায়গা এখনো দেশের ক্রিকেটে প্রস্তুত করা হয়নি। দল না পেয়ে বিপিএলের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও বেড়েছে অপেক্ষা। কেবল অনুশীলনের সময়ই লেগ স্পিনারদের ডাক পড়ে। প্রস্তুতিতে কাজে লাগাতে পারলেও লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেটে ‘বিরল’ এই বোলার নিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস হয়নি বিসিবির। তবুও এশিয়া কাপ ও বিশ^কাপের জন্য প্রতিপক্ষের লেগ স্পিন সামলাতে কোচ হাথুরু একাধিক কৌশলে অনুশীলন করাচ্ছেন। 

প্রথম মেয়াদের মতোই দ্বিতীয় মেয়াদেও একজন ভালো মানের লেগ স্পিনার খোঁজা বন্ধ করেননি হাথুরু। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া সব দলেই আছেন লেগ স্পিনার কিংবা চায়নাম্যান বোলার। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। প্রথম রাউন্ডের দুই ম্যাচেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও রশিদ খানের মতো বিশ্বমানের লেগ স্পিন বল মোকাবেলা করতে হবে সাকিবদের। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও একাডেমি থেকে পাঁচজন লেগ স্পিনারকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে টিম ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া অনুশীলন ক্যাম্পের শুরু থেকেই নেট বোলার হিসেবে ভারতীয় লেগ স্পিনার কারাপ্পাক জিয়াস অনুশীলনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন। 

পাওয়ার প্লেতে লেগ স্পিনার মোকাবেলা, ফাস্ট বোলিং, গুগলি, চায়নাম্যান ও নতুন বলে লেগ স্পিন খেলিয়ে নতুন হিসেবে মোহাম্মদ নাঈম-তানজিদ হাসান তামিমদের প্রস্তুত করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যাদের মধ্যে কক্সবাজারের একটি একাডেমি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে লেগ স্পিনার নোমান ইবনে জামালকে। দেশের ক্রিকেটের সফলতা বিবেচনায় কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের বড় ছেলে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার নুহায়েল সানজিদও বোলিং করছেন। অনুশীলনে নজর কেড়েছেন তিনি। চায়নাম্যান বোলার হওয়াতে তার প্রতি আলাদা দৃষ্টি ছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটে চায়নাম্যান মানে বিরল কিছু হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এছাড়া ২১ বছরের মেহেদী হাসান সোহাগকেও নেটে বল করতে দেখা গেছে নিয়মিত। 

বিশ্বকাপের জন্য বেঞ্চের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে কোচ সোহেল ইসলাম আলাদা করে একাধিক ভেরিয়েশনের বোলারদের দিয়ে কাজ করছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াতেই তাদের প্রস্তুত করতে কোনো কিছুর কমতি রাখছেন না। সব মিলিয়ে দলের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নয়, সেটা যদি অপেশাদার বোলার দিয়ে হয় তাতেও কোনো সমস্যা নেই। মূল কথা স্পিনে কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫