শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০৮
শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। কলম্বোতে অলিখিত সেমিফাইনালের সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই দলের বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভাব ঘটে বৃষ্টির। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শুরু না হয়ে বৃষ্টির বাগড়ায় দুই দফায় ওভার কমে ম্যাচটি হয় ৪২ ওভারে।
আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ইনিংসের মিডেল ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের শতরানের জুটিতে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানের বড় পুঁজি পায় বাবর আজমের দল।
২৭.৪ ওভারে পাকিস্তান ৫ উইকেটে ১৩০ রান তোলার পর ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। বেশ কঠিন পরিস্থিতিতেই ছিল বাবর আজমের দল। কিন্তু বৃষ্টির পর যেন অন্য চেহারায় হাজির পাকিস্তান।
বিপদ থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ। শুধু টেনে তোলাই নয়, ষষ্ঠ উইকেটে ৭৮ বলে ১০৮ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা।
৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত ইফতিখার আউট হন। তবে ততক্ষণে পাকিস্তানের বেশ ভালো সংগ্রহ (২৩৮) এসে গেছে বোর্ডে। ৪২ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে এই ওভারের মধ্যে লঙ্কানদের করতে হবে ২৫৩।
রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৩ বলে ৮৬ রানে। মারকুটে এই ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
মাথিসা পাথিরানা ৬৫ রানে ৩টি আর প্রমোধ মধুশান ৫৮ বলে ২ উইকেট শিকার করেন।
বলতে গেলে এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনাল। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তানের। ৯ রান তুলতে তারা হারিয়ে বসে ওপেনার ফাখর জামানকে (১১ বলে ৪)। লঙ্কান পেসার প্রমোদ মধুশানের বলে বোল্ড হন তিনি।
পাকিস্তান এমনিতেই বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করছিল। এর মধ্যে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। প্রথম ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে মাত্র ১৩ রান।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম আর আবদুল্লাহ শফিক ৬৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন। ৩৫ বলে ২৯ করে ওয়াল্লালাগের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন বাবর।
এরপর আবদুল্লাহ শফিক হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। যদিও ফিফটি পূরণ করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬৯ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৫২ রানের ইনিংস খেলে পাথিরানার শিকার হন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলীয় ১০০ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
শফিক সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেও পারেননি মোহাম্মদ হারিস। এবারের এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে পাথিরানাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি (৯ বলে ৩)। এরপর ১২ বলে ১২ রান করা মোহাম্মদ নওয়াজ বোল্ড হন থিকসানার বলে। ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।