Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চান নওশিন আনজুম

Icon

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:১৩

গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চান নওশিন আনজুম

নওশিন আনজুম। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

মেধা, মনন আর ধৈর্যের অনন্য সমন্বয় বলা হয়ে থাকে দাবা খেলাকে। খেলাটিতে একটা সময় দারুণ সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। সেটিকে যেমন কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি, উল্টো এখন নিজেরাই নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। ঘুরে দাঁড়ানোর শত চেষ্টাও তাই কাজে আসছে না। হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো একটি-দুটি সাফল্য এলেও বড় কোনো সাফল্যই আসছে না। বাংলাদেশের দাবায় হতাশার মধ্যে দুটি নামকে আলাদা করা যায়— একটি মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান, অন্যটি নওশিন আনজুম। আলোকিত করার চেষ্টাটা তাই চলছে অনেকটাই নীরবে। কারণ দাবার খোঁজখবর রাখেন এমন মানুষের সংখ্যা খুব একটা পাওয়া যাবে না। ছেলেদের মধ্যে যেমন ফাহাদ তেমনি মেয়েদের মধ্যে নওশিন বড় স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছেন। দেশের প্রথম নারী গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছেন এই কিশোরী। দাবায় নতুন রানী হামিদ হতে চান নওশিন।

নিজে জানেন স্বপ্ন পূরণ করা একটা সহজ নয়, তবু মনের জোরে সবকিছু করতে চাইছেন। ১৯৮৭ সালে নিয়াজ মোরশেদ যখন বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হন তখন ভারতে সংখ্যাটা ছিল শূন্য। এর পর তাদের ৮৮ জন গ্র্যান্ডমাস্টর হলেও বাংলাদেশে সংখ্যাটা পড়ে রয়েছে পাঁচে! ২০০৬ সালে সবশেষ এনামুল হোসেন রাজীবের পর আর বাড়েনি সংখ্যাটা। এসব কিছু মেনে সদ্যই এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া নওশিন বড় স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন। বিশেষ করে মা আফরোজা ইশরাত জাহান আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনুপ্রেরণা তার চলার পথে পাথেয়। ২০১৩ সালে নরসিংদী থেকে ঢাকায় এসে পরের বছর প্রথম টুর্নামেন্টে খেলেন। সেখানে ক্লাস টেনে পড়া এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে শুরু করেন। পরের বছর আরেকটা টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হন। আর এখন তো মেয়েদের দাবায় অনেকটা আলটিমেট চয়েজ নওশিন।

এশিয়ান গেমসে পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র নারী দাবাড়– হিসেবে অংশ নিচ্ছেন নওশিন। এর আগে ২০১৬ সালে চীনে আরেকটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে চারজনের মধ্যে একমাত্র নারী দাবাড়– ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দাবার পথচলাটা যে বেশ কঠিন, সেটি নিজেও জানেন নওশিন। পাশের দেশ ভারত যেখানে হাঙ্গেরি, স্পেনে নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে; সেখানে লাল-সবুজ দাবাড়–রা পড়ে রয়েছে তিমিরে। কারণ যত বেশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলা যায় নর্ম ততবেশি বাড়ে। তখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার সম্ভাবনাও ততই বাড়তে থাকে। অথচ দেশের বাইরের মতো দেশে গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টে কয়েক বছরে একটা টুর্নামেন্ট হয়ে থাকে। 

মূলত স্পন্সরের অভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন নওশিন। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারও অভাব রয়েছে। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশিন বলেন, ‘রানী হামিদ আন্টি অনেক চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার হতে পেরেছিলেন। আমি দেশের প্রথম মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চাই। জানি এটা অনেক বেশি কঠিন কাজ। তবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশে ও দেশের বাইরে বেশি বেশি গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট খেলতে পারলে সেখান থেকে প্রাপ্ত নর্মই আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’ তাই এশিয়ান গেমসে নিজেকে প্রমাণ করতে চান তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫