
স্কুলছাত্র দাবাড়ু মনন রেজা নীড়। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব দাবার র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন ভারতের গুকেশ দাম্মারাজু, অষ্টম অঞ্জন এরিগাইসি, একাদশ বিশ্বনাথ আনন্দ, চতুর্দশ প্রাগনানন্ধা রমেশ। আর ১৪২৪ নম্বরে বাংলাদেশের জিয়াউর রহমান এবং ১৫৯৫ নম্বরে মোহাম্মাদ ফাহাদ রহমান।
ভারত ও বাংলাদেশের দাবার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এমনটি নিশ্চয়ই হওয়ার কথা ছিল না। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশের নিয়াজ মোর্শেদ দাবায় গ্রান্ডমাস্টার উপাধি লাভ করেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গ্রান্ডমাস্টার। ভারতের প্রথম গ্রান্ডমাস্টার খেতাব আসে বাংলাদেশের পরে। অথচ তারা যে দাবায় কতটা উন্নতি লাভ করেছে, বর্তমান বিশ্ব র্যাংকিং দেখলেই তার প্রমাণ মেলে।
তবে এবার ক্রীড়াঙ্গনের নতুন বিস্ময়, স্কুলছাত্র দাবাড়ু মনন রেজা নীড় যে রূপকথার জন্ম দিল, তা কি আগের সব কাহিনির মতোই হারিয়ে যাবে? থাইল্যান্ডে ব্যাংকক চেস ক্লাব ওপেন দাবা প্রতিযোগিতায় দারুণ নৈপুণ্য দেখান বাংলাদেশের ফিদেমাস্টার নীড়। টুর্নামেন্টের ২১তম আসরের পঞ্চম রাউন্ডের খেলায় নীড় কাজাখস্তানের গ্র্যান্ডমাস্টার মাকনেভ ডেনিসকে পরাজিত করেন। এর আগে তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার আর এম ললিত বাবুকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেন তিনি।
তবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের নর্ম পাওয়ার পর গ্র্যান্ডমাস্টারের নর্ম পেলে থাইল্যান্ড সফরটা স্মরণীয় হয়ে থাকত নীড়ের। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নীড় আধা পয়েন্টের জন্য জিএম নর্ম লাভ করতে পারেননি।
নীড় আমাদের সামনে আরও একবার মাথা উঁচু করে থাকার প্রেরণা দিয়েছে। হয়তো এই নীড় দেশে ফিরে আসার পর তাকে দাবা ফেডারেশন একটি সংবর্ধনা দেবে, হয়তো ক্রীড়ামন্ত্রীর হাত থেকে একটি ক্রেস্ট গ্রহণ করবে, হয়তো দাবা লিগে তাকে দলে নেওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি হবে ক্লাবগুলোর মধ্যে। ব্যস, এখানেই শেষ। কিন্তু এই নীড় কিংবা ভবিষ্যতের নীড়েরা কি ওপরে ওঠার সিঁড়ি খুঁজে পাবে? অথবা নীড়ের দেখাদেখি নতুন নতুন নীড় কি দেখতে পাব?