
বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই জয় দিয়ে একঝাঁক রেকর্ড গড়লো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শুরু হয় এবারের আসর। আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুরু হয়েছে তো কি হয়েছে, ক্রিকেট যে দিনশেষে মাঠের খেলা, মাঠের পারফরম্যান্সেই এর আসল সৌন্দর্য্য সেটাই যেন জানান দিলো আইসিসির সহযোগী দুই দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। সহযোগী দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৯৪ রান তুলেছিল কানাডা, যা যুক্তরাষ্ট্র ১৪ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে। এতে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে জয়সহ সৃষ্টি করেছে একঝাঁক রেকর্ড।
আজ রবিবার (২ জুন) ডালাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলো স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কানাডা প্রথমে ব্যাট করে রেকর্ডগড়া ইনিংসে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
তাদের সেই লড়াই ভেস্তে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহ–অধিনায়ক অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রিয়েস গুসরা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেছেন ১৩১। ওভারপ্রতি রান এসেছে ১৪.২৯ গড়ে, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো সেঞ্চুরি জুটির সর্বোচ্চ রানরেট। শেষ পর্যন্ত জোন্স ৪০ বলে ছক্কার রেকর্ড গড়ে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন গুস।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়ের শুরুটাও দারুণ ছিলো কানাডার। প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলতেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের ২ উইকেট তুলে নেয়। সে কারণে শেষ ১৩ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ১৫০ রান।
এরপর ধীরে ধীরে কানাডার নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে শুরু করেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা জোন্স। মাত্র ২২ বলেই তিনি ফিফটি করেন, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। পুরো ম্যাচের চেহারা পাল্টে যায় ওই ইনিংসেই। ১০ ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন জোন্স। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তিন নম্বরে খেলা গুস। গুস ফিরলেও, ঝড় থামাননি জোন্স। জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের এই সহ–অধিনায়ক।
এর আগে কানাডা রীতিমতো ঝড় তুলল ডালাসের প্রেইরি ভিউ স্টেডিয়ামে। উদ্বোধনী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ব্যাপক শাসন করে কানাডা স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটাও হলো মনে রাখার মতোই নভোনীত ধালিওয়াল তুলে নিয়েছেন এবারের আসরের প্রথম ফিফটি। ৬১ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চার আর ৩ ছক্কার মার। ১২৮ রানে তিনি ফিরে গেলেও নিকোলাস কির্তন ছিলেন অবিচল। ৩০ বলেই ফিফটি তুলে নেন। দলকে পৌঁছে দেন শক্ত অবস্থানে। যদিও ৫১ রানেই থামতে হয় তাকে।