
উইকেট উদযাপন করছেন রুবেন টাম্পেলম্যান। ছবি: সংগৃহীত
ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নেই ওমানের। রুবেন টাম্পেলম্যান নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে নেন তৃতীয় উইকেট। ওখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন হয়ে পরে ওমানের জন্য। নামিবিয়ার বোলারদের তোপে সেটি আর পারেনি তারা।
আজ সোমবার (৩ জুন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে নামিবিয়ার মুখোমুখি হয় ওমান। এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে দুই বল বাকি থাকতে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে ওমান।
টস জিতে বল করতে নেমে স্বপ্নের মতো শুরু করে নামিবিয়া। প্রথম দুই বলেই উইকেট পান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। তার লেট সুইং করা ফুল লেন্থের বল গিয়ে লাগে কেশপ প্রজাপতির পায়ে। আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন। ঠিক তার পরের বলে আকিব ইলিয়াসও আউট হন অনেকটা একই রকম ডেলেভারিতে।
দুই বলে দুই উইকেট নেওয়ার পর ওই ওভারে তিন রান দেন ট্রাম্পেলম্যান। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আবার উইকেটের দেখা পান তিনি। এবার ফেরান ৬ বলে ৬ রান করা নাসিম খুশিকে। এবার অবশ্য মিড অফে ক্যাচ দেন নাসিম।
এমন বিপদের শুরুর পর ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান করে ওমান। যদিও পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই তারা হারায় আরও এক উইকেট। এবার বার্নাড স্কোল্টজের বলে এলবিডব্লিউ হন ব্যাট হাতে কিছুটা আশা দেখানো জিশান মাকসুদ। ২০ বল খেলে ২২ রান করেন তিনি।
জিশানের বিদায়ের পর আয়ান খানের ব্যাটে চড়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছিল ওমান। কিন্তু এরাসমাসের বলে ফ্রাইলিংকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২১ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন আয়ান খান। তার বিদায়ের পর ওমানের ব্যাটাররা আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি।
এর মধ্যে ১৮তম ওভারে এসে ডেভিড ওয়াইজ প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন। কিন্তু পরে ওই ওভারে তিনি বাকি পাঁচ বলে দুই রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। ১৯তম ওভার করতে এসে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন টাম্পেলম্যান।
প্রথম দুইটির মতো এবার কালিমুল্লাহকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ছয়টি এলবিডব্লিউ দেখা গেলো। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে শাকিল আহমেদকে আউট করে ওমানকে অলআউট করেন ভিসা। ৩ ওভার ৪ বলে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ট্রাম্পেলম্যানের উইকেট চারটি।