কষ্টার্জিত জয় ফ্রান্সের, অঘটনের জন্ম দিল স্লোভাকিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ১২:১৫

ছবি : সংগৃহীত
ইউরো কাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ফ্রান্স। ডুসেলডর্ফ অ্যারেনায় (১৭ জুন) দিবাগত রাত ১টায় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে আত্মঘাতী গোলে ১-০ তে জয় ফরাশিদের। অন্য আরেক ম্যাচে শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরো যাত্রা শুরু করেছে স্লোভাকিয়া। ‘ই’ গ্রুপে ১-০ গোলে হেরে ইউরো মিশনের শুরুতেই হোচট খেলো ব্রুইনা- লুকাকোরা।
গতকাল সোমবার (১৭ জুন) কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা এদিন মাঠে নেমেছিল র্যাংকিংয়ে ২৫ নাম্বারে থাকা অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে। তবে ফ্রান্সের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছে অস্ট্রিয়া।
কঠিন লড়াইয়ে একবার বল এই প্রান্তে তো পরক্ষণেই অন্যপ্রান্তে। তবে শেষমেশ ভাগ্যের কাছেই হেরে গেছে অস্ট্রিয়ানরা। ৩৮ মিনিটে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলান ওবারের আত্মঘাতী গোলে ১-০ গোলের জয় পায় ফ্রান্স।
এমবাপ্পের ক্রস শট ঠেকাতে গিয়ে ভুলক্রমে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার। ওই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
জয়ের দিনে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে অস্ট্রিয়ার কেভিন ডানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ফেটে রক্ত বের হলেও মাঠেই থেকে যান এমবাপ্পে। পরে ৯০ মিনিটের মাথায় তাকে তুলে অলিভিয়ের জিরুকে নামান কোচ দিদিয়ের দেশম।
এদিকে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম অঘটনের জন্ম দিলো স্লোভাকিয়া। ফিফা র্যাংকিংয়ে তিনে থাকা বেলজিয়ামের এই ম্যাচে জয়টা অনেকাংশেই নিশ্চিত বলে ধরে রেখেছিল ফুটবলবোদ্ধারা। কিন্তু শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরো যাত্রা শুরু করেছে স্লোভাকিয়া। ‘ই’ গ্রুপে ১-০ গোলে হেরে ইউরো মিশনের শুরুতেই হোচট খেলো ব্রুইনা- লুকাকোরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বেলজিয়াম। তবে প্রথমার্ধের ৭মিনিটে স্লোভাকিয়ার উইঙ্গার ইভান শ্রানচের গোলে পিছিয়ে পড়ে বেলজিয়াম। প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে পড়া বেলজিয়াম দ্বিতীয়ার্ধেও কোনো গোল শোধ করতে পারেনি। বেশ কয়েকবার গোল বাতিল হওয়ায় স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারতে হলো লুকাকু-কেভিন ডি ব্রুইনাদের।
বেলজিয়াম কেবল নিজেদেরকে দোষারোপ করতে পারে এই হারের জন্য। গোল হজমের পর গোলের সুযোগ তৈরি করেও কখনো স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় আবার কখনো ভিএআর কিংবা অফসাইডের কারণে কপাল পুড়েছে বেলজিয়ামের। শেষ পর্যন্ত তাদের দেখতে হলো মুদ্রার উল্টো পিঠ।