
১১ ম্যাচ ও ৩১ বছর পর ইতালিকে হারাল সুইজারল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৩ সালের পর ইতালিকে কখনো হারাতে পারেনি সুইজারল্যান্ড। ৩১ বছরের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটলো চলমান ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে। একই সঙ্গে ২০০৪ সালের পর ইতালি কখনো ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের আগে থামেনি। কিন্তু এবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার ম্যাচে জার্মানির বার্লিনে দুইটি ইতিহাসই লেখা হলো নতুন করে।
ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো থেকে বিদায় করেছে সুইজারল্যান্ড। সেই সঙ্গে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ ও ইউরো) টাইব্রেকার ছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো সুইজারল্যান্ড।
ইতালির উপর শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে সুইজারল্যান্ড। ১২ মিনিটের মাথায় এনদয়ের ভলি শট চলে যায় গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে। ২৫ মিনিটে আবারো সুইসদের আক্রমণ; এবার এমবোলোর শট রুখে দেন ডোনারুমা।
ইতালির রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করে অবশেষে ৩৭ মিনিটেই সুইসরা এগিয়ে যায়৷ রুবেন ভারগাসের ক্রস থেকে দারুণ এক গোল করেন রেমো ফ্রুয়েলার। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সুইসরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই ইতালির জালে বল জড়ায় সুইসরা। আবেশারের পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন ভারগাস।
৭৩ মিনিটে রেতেগুইর শিট দারুণভাবে রুখে দেন সোমার। ৭৫ নিনিটে সামাকার শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে গোলবঞ্চিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শেষদিকে ইতালি মুহুর্মুহু আক্রমণ করে সুইস ডিবক্সের ভেতর। কিন্তু কোন ফুটবলারই গোলমুখে শট নিতে পারেনি। সুইসদের মানব দেয়ালের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইতালির আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ইতালির, আর দারুণ জয়ে সুইসরা কোয়ার্টার ফাইনালে।
সুইজারল্যান্ড ঐতিহাসিক জয় এনে দেয়া গোল দুইটি করেছেন রেমো ফ্রেলার ও রুবেন ভারগাস। ইতালি পুরো নব্বই মিনিটে শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র একটিই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১-০ ব্যবধানে হারার পর ১১ ম্যাচ ও ৩১ বছর পর ইতালিকে হারাল সুইজারল্যান্ড। আর দুই দশক পর আবারও মহাদেশসেরা-টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বিদায় নিল ইতালি।