Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

গর্ভে ৭ মাসের সন্তান নিয়ে অলিম্পিকে এক চিকিৎসক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫৯

গর্ভে ৭ মাসের সন্তান নিয়ে অলিম্পিকে এক চিকিৎসক

নাদা হাফেজ। ছবি: সংগৃহীত

চলমান প্যারিস অলিম্পিকে সবার নজর কেড়েছেন মিসরের এক চিকিৎসক। ২৬ বছর বয়সী এই প্যাথলজিস্টের (রোগনিরূপণবিদ) নাম নাদা হাফেজ। গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ফেন্সিংয়ে লড়েছেন তিনি। নিশ্চিত করেছিলেন শেষ ষোলোও। নাদা বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো মিসরের হয়ে অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নেন নাদা। 

গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন নাদা। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা-ইয়াং জিওনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি; হেরে যান ১৫-৭ পয়েন্টে।

প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত হন এই চিকিৎসক। হাত নেড়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার মুহূর্তে কেঁদেও ফেলেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানান তার আবেগে ভেসে যাওয়ার কারণ, ‘পোডিয়ামে (বিজয় মঞ্চে) আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনো পৃথিবীতে আসেনি!’

মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে উঠে আসা এই ফেন্সার আরো লিখেছেন, ‘আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে (প্রতিপক্ষকে) দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছি। এটা গর্বের। এটা আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’

নাদার বিদায়ের পর পরই প্যারিস অলিম্পিকে আফ্রিকাকে প্রথম সোনার পদক এনে দেন নারী সাঁতারু তাতিয়ানা স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাঁতারু মেয়েদের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ইভেন্ট জিততে সময় নেন ১ মিনিট ৫.২৮ সেকেন্ড।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫