
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
দুই ম্যাচের টেস্টে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস ইউনিটকে সামাল দেওয়া। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের লক্ষ্য ভেদ করে ১১৭ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা। এতে চতুর্থ দিন শেষ চালকের আসনে বসেছে বাংলাদেশ।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। এতে ১১৭ রানের লিড পায় তারা। দিনের শেষ সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে হোঁচট খায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব।
শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান তুলে দিনশেষ করেছে পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শাফিক ১২ রান এবং ৯ রানে অপরাজিত রয়েছে শান মাসুদ। এতে বাংলাদেশের থেকে ৯৪ রানের পিছিয়ে রয়েছে দ্য ম্যান ইন গ্রিনরা।
শনিবার (২৪ আগস্ট) চতুর্থ দিনের শুরুতে নতুন বলের ধাক্কা সামলাতে পারেননি লিটন দাস। ৭৮ বলে ৫৬ রান করে নাসিম শাহর বলে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০৩ বলে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটার।
দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩৬তম ওভারে পাকিস্তানের দেওয়া ৪৪৮ রানের লক্ষ্য ভেদ করেন মিরাজ এবং মুশফিক। এতে লিডে পা রাখে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ফিফটি তুলে নেন মিরাজও। অপরা প্রান্তে ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তের পৌঁছে যান মুশফিক। কিন্তু ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৩৪১ বলে ১৯১ রান করেন তিনি।
এরপর শূন্য রানে আউট হন হাসান মাহমুদ। তবে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু অপর প্রান্তে শাহিন আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। ১৭৯ বলে ৭৭ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
শেষ দিকে ১৪ বলে ২২ রান করে শরিফুল ইসলাম ক্যাচ আউট হলে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ১১৭ রানের লিড পায় তারা।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নাসিম শাহ। এ ছাড়াও শাহিদ আফ্রিদি, খুরাম শাহজাদ এবং মোহাম্মদ আলি দুটি করে উইকেট নেন। এক উইকেট শিকার করেন সাইম আইয়ুব।
এর আগে ১২২ বলে ৫৫ রানে মুশফিক এবং লিটনের অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।