রিয়াল মাদ্রিদে কিলিয়ান এমবাপ্পে যোগ দিয়েছেন মহাতারকা হিসেবে। ২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জিতেছেন ফিফা বিশ্বকাপ। ছিলেন ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন-বুট’ জয়ী। বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারলেও গড়েছেন হ্যাটট্রিকের কীর্তি। দেশের হয়ে উয়েফা নেশন্স লিগ দখলে নিয়েছেন। 

মাত্র ১৬ বছর বয়সে এমবাপ্পে মোনাকোর হয়ে জিতেছেন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান আর ফ্রেঞ্চ লিগ কাপ। পরে পিএসজির হয়ে ছয়টি লিগসহ ১৫টি ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন। ২০১৮-১৯ থেকে টানা ৬ বার হয়েছেন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের সেরা গোলদাতা। পাঁচবার পেয়েছেন বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সম্মাননা। ২৮৮ গোল নিয়ে তিনিই পিএসজি ইতিহাসের সর্বকালের সেরা গোলদাতা। 

অনেক প্রাপ্তির মধ্যেও মানুষের জীবনে কিছু না কিছু অপ্রাপ্তি থেকে যায়। এমবাপ্পেরও রয়েছে। তার লক্ষ্য বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর আর ফিফা অ্যাওয়ার্ডের স্বীকৃতি। চান ক্লাবের হয়ে উয়েফা ট্রফি জিততে। এ ছাড়া লক্ষ্য ছিল বিশ্বের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে খেলা। ২০১৯-২০ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে খেলেছেন পিএসজির হয়ে। কিন্তু হারতে হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। 

চলতি বছরের ৩ জুন পাঁচ বছরের চুক্তিতে এমবাপ্পে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ১৪ আগস্ট লস ব্লাংকোসদের জার্সিতে হয়েছে তার স্বপ্নিল অভিষেক। পোল্যান্ডের ওয়ারশতে উয়েফা সুপার কাপে তিনি মাঠে নামেন ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার বিপক্ষে। শুধু মাঠে নামেননি। রিয়ালের ২-০ গোলের জয়ে লক্ষ্যভেদও করেছেন। তাতেই ক্লাব ক্যারিয়ারে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে প্রথম উয়েফা ট্রফি। ২০১৭ সালেই এমবাপ্পে নাম লেখাতে চেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। সে সময় মোনাকো থেকে বাবার পরামর্শে পিএসজিতে যোগ দেন। সাত মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এলেন এমবাপ্পে। শুরুতেই বাজিমাত। উয়েফা সুপার কাপ জয়ের পর জানালেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদে খেলার স্বপ্ন শিশুকাল থেকে দেখে এসেছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি খুব খুশি।’ 

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আগামীতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে চান এমবাপ্পে। জানিয়েছেন, ‘রিয়ালে বহু বছর খেলতে চাই। আশা করছি, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ অনেক কিছুই জিততে পারব।’ এমবাপ্পের অভিষেকের দিনে রিয়ালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়েছেন লুকা মদ্রিচ। তিনি জিতেছেন ২৭তম ট্রফি। রিয়ালে ২৬টি ট্রফি জয়ের রেকর্ড রয়েছে স্প্যানিশ তারকা নাচোর।